প্রতিবেদন : যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাই বাংলার মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে খেলছে। বিএসএফ জওয়ানদের কুকীর্তির জন্য গ্রেফতার পর্যন্ত করতে হচ্ছে তাদের। যেখানে মোদি-শাহ এসে মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি করছেন সেখানে বিএসএফ জওয়ানরাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? বিএসএফের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কেন্দ্রকে এভাবেই তুলোধোনা করলেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-ফসল নষ্ট করে ফের প্রধানমন্ত্রীর সভা! এবার ক্ষোভে ফুটছে বিষ্ণুপুরবাসী
কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসল স্বরূপ ফের প্রকাশ্যে। উলুবেড়িয়ায় ভোটের ডিউটি করতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের হাতে শ্লীলতাহানি এলাকার মহিলার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায়। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই জওয়ানকে। জানা যায়, রবিবার সকালে ওই মহিলা যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেই সময় এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে উর্দিধারী দুই বিএসএফ জওয়ান তাঁকে অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কুপ্রস্তাব দেয়। প্রতিবাদ করায় একজন জওয়ান জোর করে তাঁকে জড়িয়ে ধরে এবং অশ্লীল ব্যবহার করে। সেই মুহূর্তে অপর জওয়ান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আতঙ্কে ওই মহিলা চিৎকার করতে থাকেন। সেই সময় গ্রামবাসীরা ছুটে এসে ওই বিএসএফ জওয়ানকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপরেই উলুবেড়িয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে যোগীন্দর পাল নামে ওই বিএসএফ জওয়ানকে থানায় নিয়ে যায়। মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, জোর করে আটকে রাখা, হুমকি— বিভিন্ন ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করেছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই জওয়ানরা নাকি ভোটের লাইনে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। কিন্তু ভোটের আগেই তাঁরা যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করলেন সেটা আমরা দেখলাম। শশী পাঁজা প্রশ্ন তোলেন, মোদি সরকার কি এই কারণেই বাংলায় এত সেন্ট্রাল ফোর্স নামিয়েছেন যাতে মহিলাদের ভয় দেখানো যায়, যাতে তাঁরা ভোট দিতে যেতে না পারেন?
মন্ত্রীর কথায়, রাজ্যে মহিলাদের স্বশক্তিকরণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চেষ্টাই করেছেন। এই মহিলারাই গেম চেঞ্জার হতে পারেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সেটা অনুধাবন করেছে তাই তারা সেই মহিলাদেরকেই ভয় দেখাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মহিলাদের বেইজ্জত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তাঁদের ভোটদান থেকে বিরত রাখা যায়।