পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে (Ebrahim Raisi)? রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘিরে তথ্য প্রকাশ্যে। ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে নাম উঠে আসছে সুপ্রিম লিডার আলি খামেনির ছেলে মোজতবা খামেনির। রবিবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর অবশেষে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃতদেহের তেরোটি খণ্ডাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। একদিকে যেমন শিয়া মুসলমানদের মধ্যে শোকের পরিবেশ, অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে উল্লাস দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজীব গান্ধীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর
রবিবার হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় রাইসি (Ebrahim Raisi) এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের। এই ঘটনা শোক প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার দেশজুড়ে একদিনের জাতীয় শোক পালন করার কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং এদিন কোন সরকারি অনুষ্ঠান হবে না। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ইরানের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় প্রেসিডেন্টের কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক তদন্ত শুরু হয়েছে। আর সেখানেই খুনের তত্ত্ব সামনে এসেছে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোজতবা খামেনি ইরানের শাসন ক্ষমতার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। নিজের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে তিনি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছিলেন। ক্ষমতার উত্তরাধিকারের পথ প্রশস্ত করতেই প্রেসিডেন্টকে খুন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। তদন্ত চলছে।
গত ১৯ মে রবিবার, আজারবাইজান-ইরান সীমান্তে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকে তেহরানে ফেরার সময় উত্তরপশ্চিম ইরানের জোলফার পাহাড়ি অঞ্চলে রাইসির হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছিল। খারাপ আবহাওয়া ও তুষারপাতের কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগে উদ্ধারকারী দলের। পরে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানায়, ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারে কারও বেঁচে থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।