তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশালীন আক্রমণের জেরে ২৪ ঘণ্টার জন্য তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সেন্সর করল নির্বাচন কমিশন। প্রকাশ্য সমাবেশে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে কুকথা বলায় তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। তার জেরে প্রথমে শোকজ। পরে মঙ্গলবার অভিজিতের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত জন্য প্রচার করতে পারবেন না তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। জীবনের প্রথম নির্বাচনে কুকথার জন্য শাস্তি পেলেন- স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।
গত বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি জনসভায় অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর। মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?“ এর প্রেক্ষিতে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে বাংলাজুড়ে। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। অভিজিৎকে গত ১৭ মে নোটিশ পাঠায় কমিশন। জানানো হয়, বিজেপি প্রার্থী জবাব না দিলে এক তরফা পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার কমিশনকে জবাব দেন প্রাক্তন বিচারপতি। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। চারপাতার নির্দেশে তারা লিখেছে, কুরুচিকর ভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! বিমানের ধাক্কায় মৃত্যু ৩৬ টি ফ্লেমিঙ্গো পাখির
কমিশনের মতে, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে কমিশন উল্লেখ করছে লোকসভা নির্বাচনে একাধিক মহিলা প্রার্থী লড়াই করছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে কোনও অসম্মানজনক মন্তব্য কমিশন বরদাস্ত করবে না।
চিঠিতে অভিজিতের আগের পেশার কথা উল্লেখ করে কমিশনর লিখেছে, একজন শিক্ষিত মানুষ কীভাবে এমন মন্তব্য করেন? নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, শোকজের জবাবের মাধ্যমে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত শিকার করে নিয়েছেন তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তারপরই কড়া পদক্ষেপ কমিশনের। জানিয়ে দেয়, প্রাক্তন বিচারপতি ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না।
এই নির্দেশের পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য তীব্র কটাক্ষ করে লেখেন,
“একজন প্রাক্তন বিচারপতি যিনি বিজেপির আকালের বাজারে তাদের বাঙালি-ভদ্রলোক মুখ হতে চেয়েছিলেন, তিনি তার জীবনের প্রথম নির্বাচনেই কেবল কুকথার জন্য শাস্তি পেলেন! বিজেপির কপালটাই পোড়া!
আসলে বিজেপিতে সবাই শুভেন্দু অধিকারী। মুখ খুললেই নর্দমা! কারোর গন্ধ আগে বেরোয়, কারোর একটু পরে..”