প্রতিবেদন: পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির খবরাখবর অধিক সময় জানা যায় না। ভুটান পাহাড়ের মেঘভাঙা বৃষ্টিতেও হয় প্রচুর ক্ষতি। হড়পা বানের ফলে ইতিমধ্যেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। এবার পাহাড়ের বৃষ্টির খবরাখবর এবং বন্যা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাতে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ চা বাগানে বৃষ্টি পরিমাপের যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে আবহাওয়া বিভাগের তরফে। আপাতত জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স এবং শিলিগুড়ির তরাই এলাকার ৫০টি চা-বাগানে এই যন্ত্র বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এবছর বর্ষার আগেই ২০টি রেইন গেজ স্টেশন বসানো হবে বলে জানিয়েছে সিকিমের আবহাওয়া দফতর। সিকিম আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা ও উত্তরবঙ্গের মুখপাত্র গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন। চা বাগানগুলিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ৫০টি রেইন গেজ স্টেশন (Raingauge station) বসানো হবে। বৃষ্টিপাতের পরিমাপ জানার সঙ্গে তাপমাত্রার হিসেব জানতেও এই স্টেশনগুলি খুব সাহায্য করবে। উল্লেখ্য, কালিম্পং, গরুবাথানের মতো পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হলে সবসময় ভারী বৃষ্টির খবর মেলে না। ফলে মালবাজার, নাগরাকাটা, মেটেলির নদীগুলির হড়পার খবরের আগাম পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। ওই স্টেশনগুলি (Raingauge station) বসানোর পর পূর্বাভাস দেওয়া যাবে। ডুয়ার্সের বীরপাড়া, মাদারিহাট, কালচিনি, ফালাকাটা ও বানারহাট, ধূপগুড়ি এবং নাগরাকাটার মতো এলাকাগুলিতে স্থানীয় স্তরে একনাগাড়ে বৃষ্টির পাশাপাশি ভুটান সীমান্তের বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়ে থাকে। ভুটান সরকার বৃষ্টিপাতের সব খবর দেয় না। জলঢাকা, রায়ডাক, সংকোশ ও তোর্ষার উপর বৃষ্টির খবর দেয়। ফলে ডুয়ার্সের ভুটান সীমান্তবর্তী ৭৪টি ছোটখাটো নদী দিয়ে পাহাড়ের থেকে বৃষ্টির জল নেমে আসে। সেই খবর পাওয়া যায় না।
তবে এই এলাকাগুলির নিকটবর্তী চা-বাগানে রেইন গেজ স্টেশন বসানো হল সেই সমস্যা মিটবে। বিপদসীমার মধ্যে থাকা বাসিন্দাদেরও আগাম পূর্বাভাসের ফলে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন সিকিম আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা ও উত্তরবঙ্গের মুখপাত্র গোপীনাথ রাহা।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি উপেক্ষা, বাঁধ পরিদর্শনে মেয়র