আহমেদাবাদ, ২২ মে : আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ বিরাট কোহলির। ১৭ বছরেও অধরা আইপিএল ট্রফি। এলিমিনেটরে রাজস্থান রয়্যালসের (RCB vs RR) কাছে ৪ উইকেটে হেরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্বপ্নের দৌড় থামল। এই নিয়ে পঞ্চমবার প্লে-অফে ধাক্কা খেল আরসিবি-র স্বপ্ন। মোতেরায় এলিমিনেটর জিতে শুক্রবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস। চিপকে রাজস্থানের প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জয়ী দল রবিবার চিপকেই ট্রফির লড়াইয়ে নামবে দুরন্ত ছন্দে থাকা কেকেআরের বিরুদ্ধে।
আরসিবি-র (RCB vs RR) করা ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে সহজ ম্যাচ কঠিন করে ফেলেছিল রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল (৩০ বলে ৪৫), টম কোহলারের (২০)ওপেনিং জুটিতে ভাল শুরু করলেও মাঝের ওভারে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত রিয়ান পরাগ (২৬ বলে ৩৬), সিমরন হেটমেয়ার (১৪ বলে ২৬), রোভমান পাওয়েলের (৮ বলে ১৬ নট আউট) ব্যাটে চাপ কাটিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। ফিল্ডিংয়ে বিরাটের প্রচেষ্টা, বল হাতে মহম্মদ সিরাজদের লড়াই আরসিবি-র জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। দুরন্ত বোলিং করে রাজস্থানের জয়ের নায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আরও পড়ুন- হাতছানি দেয় পানবুদারা
টসে জিতে রাজস্থান অধিনায়ক আরসিবি-কে ব্যাট করতে পাঠান। রাজস্থানের ফিল্ডিংয়ে দু’রকম পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। একদিকে পাওয়েলের অনবদ্য একটি ক্যাচ, তেমনই ধ্রুব জুরেল, যশস্বীদের সহজ মিস। তার পরেও আরসিবি-র ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন বেঙ্গালুরুর মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলে দেন। তারকা অফ স্পিনার নিজের কোটার শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। একটি ক্যামেরন গ্রিন। গোল্ডেন ডাক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার আগে ট্রেন্ট বোল্টের আগুনে বোলিং সামলে বিরাট ২৪ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন যুজবেন্দ্র চাহালের বলে। প্রথম ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ৮০০০ রান করার নজির গড়েন কিং কোহলি।
এরপর গ্রিন (২১ বলে ২৭), রজত পাতিদার (২২ বলে ৩৪), মহিপাল লোমরোর (১৭ বলে ৩২) চেষ্টা করলেও কেউ আরসিবি-র স্কোরকে ২০০-র উপর পৌঁছে দিতে পারেননি। রাজস্থানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন অশ্বিন এবং বোল্ট। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অশ্বিন। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট বোল্টের। আবেশ খান ৩ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ৪৪ রান।
তার মধ্যেই দীনেশ কার্তিকের আউট নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়। আরসিবি ইনিংসের ১৫তম ওভারে পাতিদার আউট হওয়ার পরের বলেই গোল্ডেন ডাক হতে পারতেন কার্তিক। তাঁকে লেগ বিফোর আউট দেন ফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায়, বল প্যাডে লাগার সময় স্নিকোমিটারে স্পাইক রয়েছে। খুব দ্রুত তৃতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরী সিদ্ধান্তে পৌঁছন, বল ব্যাটে লেগেছে। রাজস্থান শিবির প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কার্তিক জীবন ফিরে পেলেও ১১ রানের বেশি করেননি।