প্রতিবেদন : নতুন টালা ব্রিজের বহু প্রত্যাশিত নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন টালা ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে এই ব্রিজ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টালা ব্রিজের কিছুটা অংশ গিয়েছে রেলের লাইনের ওপর দিয়ে।
আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে চায় রাজ্য
আইন অনুযায়ী ব্রিজের ওই অংশ তৈরি করবে রেল। তাই রেলকেও তাদের অংশের কাজ দ্রুত শেষ করতে রাজ্য সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। টালা ব্রিজের নির্মাণ নিয়ে সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের পূর্ত দফতরের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, আইআইটি চেন্নাইয়ের তৈরি টালা ব্রিজের চূড়ান্ত নকশা ওই বৈঠকে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-আগামী সপ্তাহে প্রকাশ হচ্ছে ভোটার তালিকা
রেললাইনের ওপরে থাকা অংশের পরিকল্পিত নকশা কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপরেই ওই অংশের এর লাইন সরানো-সহ যাবতীয় কাজ শুরু করবে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলসূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই নির্মীয়মাণ ব্রিজের র্যাম্পের নিচের অংশে থাকা রেলের কোয়ার্টারগুলি সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এজন্য ১১ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই অংশের ৩৮টি বাড়ি ভাঙতে হচ্ছে। যার মধ্যে তিনটির ভাঙার কাজ শেষ।
আরও পড়ুন-যত ভাবনা বাংলা নিয়ে !
উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র ছিল টালা ব্রিজ। ওই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল তার জীর্ণ অবস্থার কথা। তার পরেই রেলের সঙ্গে আলোচনার পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার কিছুদিনের মধ্যেই ওই সেতু ভাঙার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। উত্তর কলকাতার নতুন করে সেতু তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে।
যার ফলে নিত্য যানজটের সমস্যায় জেরবার উত্তর কলকাতা ও শহরতলির এক বিরাট অংশের মানুষ। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই যথাসম্ভব দ্রুত গতিতে টালা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এবার খুব শীঘ্রই সেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।