সংবাদদাতা, ঠাকুরনগর : শান্তনু ঠাকুরের অনৈতিক কার্যকলাপ এবং জোর করে বড়মার ঘরে তালা দিয়ে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছিলেন মমতাবালা ঠাকুরের ছোট কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। অনশনে ১২ দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন মধুপর্ণা ঠাকুর। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে। অন্যায়ভাবে শান্তনু ঠাকুর তাঁদের পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে, একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বড়মার ঘরে তালা লাগিয়ে রেখেছে। এইসব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়েই ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আমরণ অনশন শুরু করেন মধুপর্ণা।
আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে রিমেল মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে কলকাতা পুরসভা
১২ দিন অনশনের পর এদিন দুপুরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন মমতা ঠাকুর। তিনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মধুপর্ণা। শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে আগামী দিনে মেয়েকে অনশন চালাতে দেবেন কি না তা ঠিক করবেন বলে জানান তিনি। মমতাবালা ঠাকুর জানান, আইনের প্রতি আস্থা রয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ কোর্টে হিয়ারিং রয়েছে। ন্যায় বিচার পাব। প্রসঙ্গত, ৭ এপ্রিল মতুয়া ধর্মের মহামেলা চলাকালীন বীণাপাণি ঠাকুরের ঘরের দখল ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেইদিন বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের ঘরের তালা ভেঙে তালা দিয়ে দিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা। তার পর থেকে সেই ঘর তালাবন্ধ। ওই বাড়ির একটি ঘরে থাকতেন মমতা ঠাকুর। তিনিও সেই ঘরে ঢুকতে পারছেন না। ফলে মমতা ঠাকুর ও তাঁর পরিবার নিদারুণ সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ঘরে ঢোকার দাবিতে ১২ দিন আগে অনশন শুরু করেছিলেন মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর।