প্রতিবেদন : ষষ্ঠ দফা ভোটে দিনভর কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ও নেতাদের ক্ষোভ উগরে দেওয়া, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করার বহর দেখে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বজবজ চড়িয়াল মোড় থেকে পূজালি পুরসভা পর্যন্ত জনজোয়ারে ভেসে রোড-শো শেষে বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, এখন বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজ করছে না ঠিকমতো। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ভাল নয়। অভিষেকের কথায়, তার মানে হাওয়া ঘুরছে। যারা এতদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় নির্বাচনে জিতবে ভাবছিল, ইডি-সিবিআইয়ের ভরসায় নির্বাচন জেতার স্বপ্ন দেখেছিল তারাই বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা ভাল নয়!
আরও পড়ুন-রবিবার মধ্যরাতে ল্যান্ডফল, সতর্ক প্রশাসন, ছয় জেলায় রেড অ্যালার্ট
তাঁর সংযোজন, শনিবার জঙ্গলমহল, মেদিনীপুর সব জায়গায় মানুষ ওদের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে। আগামী ১ জুন ডায়মন্ড হারবার বুঝিয়ে দেবে মানুষের কী শক্তি! এদিন ঝড়-বৃষ্টি, দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, আগামী দু’-একদিন ঝড়-বৃষ্টি, দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে সব কর্মসূচি বাতিল করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা, রিলিফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। দুর্যোগের কারণে একজন মানুষেরও যাতে অসুবিধে না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এখনই তার কাজ শুরু করে দিতে হবে। তাঁর আরও সংযোজন, আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। আগামী দু’-একদিন প্রয়োজনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে না। জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, রাতবিরেতে যখনই হোক না কেন, কোনওরকম অসুবিধে হলে আমাদের হোক বা আমাদের প্রতিনিধিদের জানাবেন। তারা আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। এটা আমাদের কর্তব্য-দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুন-মোদীরাজ্যে গেমিং পার্লারে দাহ্য পদার্থ, চারদিকে পোড়া মাংসের গন্ধ
সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়েও বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, আমি যতদিন আছি ডায়মন্ড হারবারে বৈষম্যের, বিচ্ছিন্নতাবাদের রাজনীতি হতে দেব না। বিভাজনের রাজনীতি করতে দেব না। এরপরই ডায়মন্ড হারবারে ভোটের চলচ্চিত্রের কথা উল্লেখ করে অভিষেকের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী যত আসবে তৃণমূলের ভোট তত বাড়বে। ২০১৪ সালে ৭১ হাজার ভোটে হারিয়েছিলাম। যাত্রাটা সেদিনই শুরু হয়ে গিয়েছিল। আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর সংযোজন, ২০১৪ তে এসেছি, তৃণমূল ৭০ হাজার ভোটে জিতেছে। ২০১৬ তে সাতটা বিধানসভায় জিতেছি। ২০১৯ সালে বজবজ থেকে ৫৬ হাজার ভোটে হারিয়েছি। ২০২৪-এ আরও বেশি ভোটে হারাব। চার লক্ষ ব্যবধানের মাত্রা ঠিক করেছি। বজবজকে এক লক্ষ দিতে হবে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে কিছু না হলে চারশো কোটি টাকার রাস্তা হয়েছে। ৫৫৮০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে ১০ বছরে। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চড়িয়াল ব্রিজ। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ৫ দশকের দাবি এই চড়িয়াল ব্রিজ। অশোকদা বলেছিল, তুমি যদি চড়িয়াল ব্রিজ করতে পারো তবে বুঝব উন্নয়ন হয়েছে। ১৭ কোটি টাকা খরচ করে ব্রিজ হয়েছে। আর কোটি টাকা খরচ করে পুনর্বাসন হয়েছে। যাঁদের দোকান ছিল তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সম্প্রীতি উড়ালপুল আমি উদ্বোধন করলাম, আমাকে বলল নিচের রাস্তাটা খারাপ মহেশতলায়। আমি বলেছিলাম যতদিন না হচ্ছে ততদিন আমি ফ্লাইওভার ব্যবহার করব না। ৫৬ কোটি টাকা খরচ করে সেই রাস্তা সারানো হয়েছে।