প্রতিবেদন : যুবভারতীতে দেশের জার্সিতে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে শহরে চলে এলেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। ৬ জুন কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের মরণ-বাঁচন ম্যাচ ভারতের। কলকাতার গরম এবং আর্দ্রতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ম্যাচের আট দিন আগেই ফুটবলের মক্কায় পা রাখল ব্লু টাইগার্স। ভুবনেশ্বরে শিবির শেষ করে বুধবার দুপুরে শহরে পৌঁছল ইগর স্টিমাচের দল। কলকাতা বিমানবন্দরে সুনীলদের অভ্যর্থনা জানায় আইএফএ। ঢাক বাজিয়ে, পুষ্পবৃষ্টিতে সুনীলদের বরণ করা হয়। কলকাতায় থেকে কুয়েত ম্যাচের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবে স্টিমাচের ভারত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনীলদের অনুশীলন নিউ টাউনের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের মাঠে। সেখানেই এখন মহড়া সারবে দল।
কলকাতা সুনীলের (Sunil Chhetri) সেকেন্ড হোম। এই শহর থেকেই পেশাদার কেরিয়ার শুরু। ভারতীয় ফুটবলেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এখান থেকে। তার উপর কলকাতার জামাই তিনি। নীল জার্সিতে ১৯ বছরের কেরিয়ার শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকটি দিন আগে আবেগতাড়িত সুনীল। শহরে পা রাখার আগেই একটি আবেগঘন পোস্ট করেন তিনি। ভারত অধিনায়ক পোস্টে লেখেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে আমি কিছুটা দ্বিধায় পড়েছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমার বাকি কয়েকটি দিন রয়েছে। এই ক’টা দিন আমি কী করব? প্রতিটি দিন, প্রতিটি ট্রেনিং সেশন কী আমি গুণব? শুধু এই চিন্তাই মাথায় ঘুরছে, কীভাবে বাকি দিনগুলো আমি শেষ করব!’’ সুনীল আরও লিখেছেন, ‘‘আমি বাকি ট্রেনিং সেশনগুলো গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং এটা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে। ফুটবল খেলাটার কাছে এবং দলের প্রতি আমার ঋণী হওয়ার অনুভূতি রয়েছে। কারণ, আমি কোনও কিছু সহজে পাওয়ার চেষ্টা করিনি।’’
আরও পড়ুন-একতাই শক্তি, বার্তা শাহরুখের
এদিন ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আসার পর বিমানবন্দরের ভিতরেই ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফে উত্তরীয় পরিয়ে ভারতীয় দলের কোচ, ফুটবলারদের স্বাগত জানানো হয়। এরপর বিমানবন্দরের বাইরে এসে টিম বাসে ওঠার সময় ফুটবলারদের পুষ্পবৃষ্টিতে স্বাগত জানায় আইএফএ। খুদে ফুটবলাররা ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে অপেক্ষায় ছিল সুনীলদের জন্য। ভারত অধিনায়কের ছবি দেওয়া ‘ওয়েলকাম পোস্টার’ নিয়ে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বেশ কিছু ফুটবলপ্রেমী এবং সাদার্ন সমিতির খুদে ফুটবলাররা।
সুনীল ও কোচ ইগর সবার আগে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে টিম বাসে ওঠেন। এরপর একে একে বাকি ফুটবলাররা। সুনীল, সাহাল আবদুল সামাদরা টিম বাসে ওঠার সময় তাঁদের নামে জয়ধ্বনি দেন সমর্থকরা। সুনীল হাসি মুখে বাসে উঠে পড়েন। সামনের আসনে বসার আগে টিম বাসের ভিতর দাঁড়িয়ে সমর্থকদের দিকে হাত নাড়ান এবং প্রণাম জানান। বাইপাসের ধারে পাঁচতারা হোটেলে আসার পর সেখানেও ফুটবলারদের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।