সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : পুলিশের সাফল্য। অবশেষে ধরা পড়ল রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে হামলার ঘটনার কেজিএফ গ্যাংয়ের মূল পাণ্ডা। ধৃতের নাম অলক দাস। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ শুক্রবার রাতে ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত খোলা চাঁদ ফাঁপরি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রিকভারি এজেন্ট থেকে কেজিএফ গ্যাংয়ের মাস্টার হয়ে ওঠে অলক ওরফে ছোট্টু। মাদক পাচার, একাধিক জমি দখল থেকে তোলাবাজির কেজিএফ গ্যাংয়ের অপারেশন চালিয়েছে অলক।
আরও পড়ুন-উন্নয়ন ও সমুদ্রসাথী প্রকল্পে কাঁথির মন জয় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী
ধৃত মহম্মদ ইরশাদকে গ্রেফতার করে জেরায় চাপ দিতে অলোকের নাম উঠে আসে। জানা গিয়েছে,ঘটনার দিন অভিযুক্ত অন্যদের সঙ্গে দুষ্কৃতী হামলায় সশরীরে যুক্ত ছিল অলোক। শুভম মাহাতো ও অলোকই এই গ্যাংয়ের মাস্টার প্ল্যানার। উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বেশ কিছু দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক রোডের উপর সেবক হাউস ভবনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করে মিশন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার দুদিনের মধ্যেই পুলিশ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা হামলার ঘটনায় সক্রিয় ভাবে জড়িত। কেজিএফ গ্যংয়ের সদস্য। অভিযুক্ত শিবা পাশওয়ানের বিরুদ্ধে ভক্তিনগর থানায় শুক্রবার আরও একটি জমি মামলার অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ লিম্বুবস্তি এলাকা থেকে শিবা পাসোওয়ানকে গ্রেফতার করে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে মনোজ ঘোষ শহর ছেড়ে ফেরার হওয়ার পরিকল্পনা কষে। নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সেবক হাউসে হামলার ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।