প্রতিবেদন: শরিকদের চাপে জেরবার নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে এমন সব শর্ত দিচ্ছে এনডিএ-র বড়, মাঝারি, এমনকী খুদে শরিকরা, যে রীতিমতো দিশাহারা অবস্থা বিজেপির। প্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে নেতৃত্বের। কথায় আছে, হাতি কাদায় পড়লে ল্যাং মারে ব্যাঙেও। গেরুয়া শিবিরের অবস্থাটা এখন ঠিক তেমনই। মোদি নামের আড়ালে এতদিন হারিয়ে গিয়েছিল এনডিএ ব্যাপারটাই। নেতাদের মুখে শুধুই বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে চূর্ণ হয়েছে দর্প। দম্ভ ঘুচেছে নরেন্দ্র মোদির। তাঁর এবং চ্যালাচামুণ্ডাদের মুখে আবার উচ্চারিত হচ্ছে এনডিএ। আসলে এছাড়া বাঁচার আর কোনও পথই খোলা নেই বিজেপির সামনে। ভোটের ফলে জোরালো ঝাঁকুনি আর রামধাক্কা তাদের আবার প্রচণ্ড নির্ভরশীল করে তুলেছে শরিকদের উপরে। তাদের ওপরই নির্ভর করছে ক্ষমতায় টিকে থাকা। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যববহার করছেন নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু থেকে শুরু করে চিরাগ পাসোয়ান, শিন্ডে এমনকী জিতনরাম মাঝিও। দর কষাকষিতে দিশাহারা মোদি। চন্দ্রবাবু চেয়ে বসেছেন অর্থমন্ত্রক, নগরোন্নয়ন,স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, জলসম্পদ, সড়ক পরিবহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত গোটা দশেক দফতর। দাবি করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ পদও। নীতীশ কুমারও ভেতরে ভেতরে চাপ বাড়িয়েই চলেছেন। তাঁর দল জেডিইউ থেকে অন্তত গোটা পাঁচেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী চাইছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিহারের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবিও পুনর্নবীকরণ করতে চাইছেন। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয়, হামারা পার্টির জিতনরাম মাঝি দলের একমাত্র সাংসদ হয়েও পূর্ণমন্ত্রী হতে চান। এলপিজির চিরাগ পাসোয়ান, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে তাঁদের দলের জন্য আশা রেখেছেন পূর্ণমন্ত্রী ছাড়াও গোটাদুয়েক করে রাষ্ট্রমন্ত্রীর। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত মোদির (Narendra Modi)। ঘরে বাইরে প্রবল চাপ সামলাতে দিশাহারা। তার ওপর নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু এনডিএ-র সঙ্গে কখন আছেন, কখন নেই, তা ভেবে ঘুম ছুটে গিয়েছে মোদির। বুধবার তাঁর দিল্লির বাসভবনে এনডিএ-র প্রথম বৈঠকে তা টের পাওয়া গেল হাড়ে হাড়ে।
এদিনই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মোদি। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে তিনি সরকার গঠনের দাবি জানাবেন বলে তাঁর দলের সূত্রের খবর। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন শনিবার।
আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯ পর্বতারোহী