প্রতিবেদন : ফের ২৬/১১-র আতঙ্ক ফিরল মুম্বইতে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় সমুদ্রসৈকতে দু’টি পরিত্যক্ত নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে বেশ কিছু কাগজপত্রও। তবে ওই নৌকোয় কোনও যাত্রী ছিল না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই নৌকাগুলি ওমান থেকে আসছিল। এই অস্ত্রবোঝাই নৌকো উদ্ধারের পরই মহারাষ্ট্র উপকূলে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে মুম্বই উপকূল জুড়ে। ইতিমধ্যেই এলাকা ঘিরে ফেলে সেই নৌকোর আরোহীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত কিছুদিন বাদেই মহারাষ্ট্রে পালন হবে গণেশ চতুর্থী। এই উৎসব উপলক্ষে বহু মানুষের জমায়েত হয়। এরকম বড় উৎসবের আগে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারে চিন্তিত প্রশাসন।
আরও পড়ুন-ভূমিপুত্র না হলেও মিলবে ভোটাধিকার
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মুম্বইতে ২৬/১১ হামলার সময় জলপথেই ভারতে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা। সে কারণেই বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা রায়গড় জুড়ে। তবে উপকূল রক্ষা বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল পরমেশ শিবমণি জানিয়েছেন, সম্ভবত ভাসতে ভাসতেই রায়গড়ে এসেছে ওই নৌকা দু’টি। ২৬ জুন ওমানে ওই নৌকা থেকে চার আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সম্ভবত তাদের আত্মরক্ষার জন্যই নৌকাতে অস্ত্র রাখা হয়েছিল। দুবাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই তথ্য মিলেছে। এই অস্ত্র উদ্ধারের পিছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র ছিল কি না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডার দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, অতীতেও যখন মুম্বইতে বোমা হামলা হয়েছিল এবং দাউদ ইব্রাহিমের মাধ্যমে ভারতে আরডিএক্স এসেছিল তখন রায়গড় বেল্ট দিয়েই এসেছিল।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বেতন অমিল স্বাস্থ্যকর্মীদের
কিন্তু ২৬/১১-র পর এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কঠোর হয়েছে। এই কড়া নজরদারির মধ্যেও কীভাবে দুটি নৌকা এল তা খতিয়ে দেখা দরকার। এদিন সকালে রায়গড়ের হরিহরেশ্বর ঘাটে একটি নৌকো থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল ও প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারাদখোল এলাকায় একটি ভেসে আসা লাইফবোট থেকেও মিলেছে অস্ত্রশস্ত্র ও বেশ কিছু কাগজপত্র। উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ যৌথভাবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, এখনও নৌকাগুলির সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের যোগাসাজসের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা সব ধরনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি।