সংবাদদাতা, কোচবিহার : শহরে পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থার সমাধানের পাশাপাশি শহরে এলিডি লাইট লাগানোর বিশেষ উদ্যোগ নিল কোচবিহার পুরসভা। শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মধ্য দিয়ে ২০টি ওয়ার্ডেই চলছে এই কাজ। হেরিটেজ শহর কোচবিহারকে দেশের মধ্যে এক অত্যাধুনিক সমৃদ্ধ শহরে পরিণত করাই লক্ষ্য বলে জানান কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বৃহস্পতিবার পুরসভা অফিসে রবীন্দ্রনাথবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, কোচবিহার পুরসভায় জলের সংকট মেটাতে ইতিমধ্যেই আমরা ৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইনের অনুমোদন পেয়েছি। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ১১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-হাসপাতাল থেকে সুস্থ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বিপন্মুক্ত মা, রাজ্যে প্রথম বিরল অস্ত্রোপচারে সাফল্য
শীঘ্রই টেন্ডার হবে। এই কাজ সম্পন্ন হলে শহরের নাগরিকদের জলের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। পাশাপাশি ৭৯০০ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এর জন্য ৫ কোটি টাকার অনুমোদন এসেছে। জলনিকাশি সমস্যার সমাধানে শহরে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি হাইড্রেন তৈরি হবে। তার জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। এই হাইড্রেনের কাজ সম্পন্ন হলে নিকাশি ব্যবস্থা অনেকটাই মিটিয়ে ফেলা যাবে। কোচবিহার শহরে লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন আসেন। তাঁদের টয়লেট-বাথরুমের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই সমস্যা মেটাতে শহরের জনবহুল জায়গায় ১৮টি টয়লেটের মধ্যে ১৩টির কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ জোরকদমে চলছে।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশে ফের রদবদল
আরও ১৫টি টয়লেটের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সমস্ত টয়লেটের কাজ সম্পন্ন হলে এই সমস্যাও অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি শহরের ভবানীগঞ্জে মাছ ও সবজি বাজারে সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। ফলে বাজারে আসা মানুষদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানে ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পেভার্স ব্লক পাতার কাজ শুরু হয়েছে। রাতের অন্ধকার দূর করতে শহরে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এলএডি লাইটের টেন্ডার করা হয়েছে।