প্রতিবেদন : আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগে মামলা দায়ের হল। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ। প্রাথমিক তদন্তে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা মেলে। সে কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানে রেশনের লাইনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলা আগামী বছর দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে সে-বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য মেলেনি। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এক বিচারপতি এই মামলার শুনানি গ্রহণ করবেন। তখনই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। অন্যদিকে ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নিচেলিস এবং জোসেফ ট্যাকোপিনা জানিয়েছেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই তাঁরা সর্বশক্তি দিয়ে এই মামলা লড়বেন। অন্যদিকে ট্রাম্প বলেছেন, বিরোধীদের উপর চরম দমননীতি চালাচ্ছে বাইডেন সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগে ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি দক্ষিণে নামবে পারদ
এরই মধ্যে রাশিয়ায় থাকা দেশের সব নাগরিককে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। অন্যদিকে যাঁরা ভ্রমণের জন্য রাশিয়া যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁদের সেই পরিকল্পনা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুপ্তচর বৃত্তির দায়ে রাশিয়ায় গ্রেফতার করা হয় আমেরিকার ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালের মস্কোর প্রতিনিধি ইভান গার্শকোভিচকে। তারপরেই দেশের নাগরিকদের প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।