প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানোন্নয়নে জেলাওয়াড়ি কিছু স্কুলকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই স্কুলগুলিকে এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং হাব হিসাবে গড়ে তোলা হবে। পরিকাঠামো ও অন্যান্য বিষয়ে আশপাশের দুর্বল স্কুলগুলিকে তারা সাহায্য করবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষক, ছাত্র এবং পরিকাঠামো বিনিময়ের মাধ্যমে স্কুলগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। রাজ্যের ৬টি জেলায় অগ্রণী প্রকল্প হিসাবে এই কাজ শুরু হল।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এবার শিক্ষা কমিশন
পরে রাজ্যের সব জেলায় এই পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, মালদহ এবং কোচবিহারে এই প্রকল্পটি প্রাথমিক ভাবে শুরু করা হচ্ছে। এর জন্য জেলায় জেলায় প্রশিক্ষণও চলবে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় প্রশিক্ষণ হয় কসবার শিক্ষাভবনে। কলকাতায় মোট ৪৬টি স্কুল উত্কর্ষ কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই এক-একটি স্কুলকে হাব হিসাবে ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি হাব স্কুলের অধীনে থাকবে ৮-১০টি দুর্বল স্কুল। শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ভাল থাকা, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো যুক্ত নামী মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিকেই হাব হিসেবে গ্রাহ্য করা হচ্ছে। জেলার ক্ষেত্রে জেলা স্কুলগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প চালু হলে একটি নামী স্কুলে গিয়ে কিছু ক্লাস করার সুযোগ পাবে তুলনায় দুর্বল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।
তার ফলে তাদের মধ্যে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাবে বলে আশাবাদী শিক্ষক মহল। জানা গিয়েছে এই প্রকল্প যাতে যথাযথভাবে রূপায়িত হয় তার জন্য আলাদা করে কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। জেলা, মহকুমা, ক্লাস্টার পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাতে সংশ্লিষ্ট স্তরগুলির শীর্ষ আধিকারিকরা রয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিমাসে হাব স্কুলগুলি কী কী কর্মকাণ্ড করল, তার রিপোর্টও রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে নির্দিষ্ট বয়ানে জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।