প্রতিবেদন : বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চাইল, ২ মূল মামলাকারী রমেশ মালিক এবং সৌমেন নন্দী কি আদৌ এই মামলা করার যোগ্য? তাঁরা নিজেরা কি টেট পাশ করেছিলেন? টেট মামলার তদন্তকারী সিবিআইয়ের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। জানাতে বলা হয়েছে ২ মূল মামলাকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা। রিপোর্ট পেশ করতে হবে ৩ জানুয়ারি। পরের শুনানি ৪ জানুয়ারি। সেদিনই মতামত জানাবে হাইকোর্ট। আইন-বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে গতিপথই বদলে যেতে পারে এই মামলার।
আরও পড়ুন-শূন্যকক্ষে পাশ টেলিকম বিলও
মামলাটি মূলত ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগকে কেন্দ্র করে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সালে। সেইহেতু ২০১৬ সালের প্যানেল এটি। গত ১২ ডিসেম্বর জেলাভিত্তিক নিয়োগের সেই প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। সেই মামলায় বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে।