রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডারের হাল ফেরাতে নতুন প্রকল্প, জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু সমীক্ষা

সাম্প্রতিককালে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। পানীয় জলের পাশাপাশি কৃষিকাজেও যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে মাটির নীচের জল

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্যের সর্বত্র ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার ধরে রাখতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। এজন্য আগামী বছরের শুরুতেই নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। এই প্রকল্পের আওতায় উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে বৃষ্টির জল ধরে তা ভূগর্ভের নির্দিষ্ট স্তরে পাঠিয়ে দেওয়ার উপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-টেট মামলায় নতুন মোড়

নতুন এই প্রকল্পের জন্য আগামী জানুয়ারি মাস থেকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। প্রত্যেক জেলায় এই প্রকল্প রূপায়ণের পরিকল্পনা থাকলেও পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো পশ্চিমাঞ্চলের শুষ্ক জেলাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় এবং উত্তরেও এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে। এই প্রকল্পের কাজে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডেরও সহায়তা নিচ্ছে। জানা গিয়েছে, সমীক্ষা করে জায়গা চিহ্নিত করার পর সেখানে রিচার্জ ওয়েল বা পারকোলেশন ট্যাঙ্কের মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। তার এক-একটির জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। রাজ্য জুড়ে দ্রুত এই কাজ শেষ করতে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

সাম্প্রতিককালে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। পানীয় জলের পাশাপাশি কৃষিকাজেও যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে মাটির নীচের জল। সামগ্রিকভাবে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। জলস্তর শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আর্সেনিক, ফ্লোরাইডের মতো যৌগের উপস্থিতি বেড়ে চলেছে। মানবশরীরে যার দীর্ঘমেয়াদি কুপ্রভাব সম্পর্কে ইতিমধ্যেই রাজ্য তথা দেশের বহু মানুষ ওয়াকিবহাল। প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার পূরণ হওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি। সেই কারণেই প্রযুক্তি-নির্ভর এই ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভূগর্ভস্থ জলস্তরের হাল ফেরাতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

Latest article