অংশুমান চক্রবর্তী: বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিভিন্ন সাময়িকপত্র। প্রতিটি সাময়িকপত্রের পিছনে ছিলেন স্মরণীয় সম্পাদক। তাঁরা খুঁজে বের করতেন যোগ্য লেখকদের। বহু নামী কবি ও সাহিত্যিক উঠে এসেছেন বরেণ্য সম্পাদকদের আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায়। নিরন্তর তাগিদে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য কালজয়ী রচনা। পাঠক তৈরির পিছনেও সাময়িকপত্রের ভূমিকা অপরিসীম।
সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে গতি স্তব্ধ হয়েছে বিভিন্ন সাময়িকপত্রের। ধীরে ধীরে চলে গেছে অন্তরালে। নিরন্তর গবেষণার মধ্য দিয়ে কেউ কেউ পুনরুদ্ধার করে চলেছেন প্রায় আঁধারে মিশে যাওয়া রাশি রাশি অমূল্য সম্পদ। আমাদের ঐতিহ্য, সোনালি অতীতকে ফিরিয়ে এনেছেন আলোয়। পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তেমনই একজন। মৌলিক সৃষ্টির পাশাপাশি আপনমনে করে চলেছেন অন্বেষণ। উদ্ধার করে চলেছেন সাহিত্যের উজ্জ্বল মণিমুক্তা। সাবালকপাঠ্য এবং ছোটদের সাময়িকপত্র নিয়ে তিনি রচনা করেছেন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। ৩৬টি প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘সাময়িকপত্র প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ৪৭০ পৃষ্ঠার সংকলন।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়
শুরুতেই ‘বঙ্গদর্শন : ফিরে দেখা’। যোগ্য সম্পাদক ও সাময়িকপত্রের অপ্রতুলতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশে প্ররোচিত করেছিল। প্রবন্ধে আছে এই উল্লেখ। রবীন্দ্রনাথ তখন কিশোর। ‘বঙ্গদর্শন’ আচ্ছন্ন করেছিল তাঁকেও। একটা সময় তিনি সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। মূল্যবান প্রবন্ধটি একটি বিশেষ সময়কে পাঠকদের সামনে হাজির করেছে।
দ্বিতীয় প্রবন্ধ ‘ঠাকুরবাড়ির ভারতী’। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় ‘ভারতী’ প্রকাশিত হত। নেপথ্যে ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। উদ্দেশ্য ছিল নতুনতর ভাবনার প্রকাশ। ঠাকুরবাড়ির এই পত্রিকা সম্পাদনা ও রচনা সম্ভারের গুণে অচিরেই হয়ে উঠেছিল সর্বজনীন। পত্রিকার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন কাদম্বরী দেবী। তাঁর মৃত্যুতে ঘটেছিল ছন্দপতন। সঙ্কটকালে এগিয়ে আসেন স্বর্ণকুমারী দেবী। তিনি তুলে নেন সম্পাদনার দায়িত্ব। স্বর্ণকুমারীর পরে সম্পাদনা করেন তাঁর দুই কন্যা হিরণ্ময়ী ও সরলা। পরবর্তী সময়ে সম্পাদনার দায়িত্ব পান রবীন্দ্রনাথ। তাঁর সময়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল গ্রন্থ সমালোচনা বিভাগটি। প্রাবন্ধিক লিখেছেন, ‘ভারতী কখনও কোনো অবস্থাতেই আদর্শচ্যুত, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। কত পত্রিকাই তো এল গেল, ক্ষণজীবী সাময়িকপত্রের মাঝে ভারতী উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।’
আরও পড়ুন-ফের সৌরভ
তৃতীয় প্রবন্ধ ‘সুরেশচন্দ্রের সাহিত্য : স্বতন্ত্র ও স্বকীয়’। প্রবলভাবে রবীন্দ্র-বিরোধী ছিলেন সুরেশচন্দ্র সমাজপতি। ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় প্রাধান্য দিতেন নব্য লেখকদের। গুরুত্ব দেওয়া হত প্রবন্ধকে। মুদ্রিত হয়েছে শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান, বানান ইত্যাদি বিষয়ে লেখা। ‘সাহিত্য’ পত্রিকায় লিখতে শুরু করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। আকস্মিক প্রয়াণের কারণে অসম্পূর্ণ থেকে যায় সেই লেখা। প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে বিষয়গুলো।
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী ছিলেন ‘সাধনা’র সম্পাদক। সম্পাদনার কাজ অনেকটাই সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ। একবছর সম্পাদনাও করেছেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে ফুলের মতো ফুটে উঠেছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে স্বল্পায়ু এই পত্রিকার বিশেষ অবদান রয়েছে। ‘ঠাকুরবাড়ির সাধনা’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন প্রাবন্ধিক।
আরও পড়ুন-এক হারেই সব শেষ নয়: শচীন
ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত আরও একটি পত্রিকা ‘পুণ্য’। রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্র ঋতেন্দ্রনাথের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। প্রথম তিন বছর সম্পাদনা করেন অগ্রজা প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের অকালপ্রয়াত পিতৃদেব হেমেন্দ্রনাথের বহু অমুদ্রিত রচনা। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথও। মাত্র একবার। কবির ‘সাহিত্যগুরু’ বিহারীলাল চক্রবর্তীও লিখেছেন। প্রাবন্ধিক বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করেছেন ‘পুণ্য : আড়ালে থাকা ঠাকুরবাড়ির একটি পত্রিকা’ প্রবন্ধে।
আরও পড়ুন-নওয়াজের পাসপোর্ট
‘প্রবাসী’ এবং রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সমার্থক। এই পত্রিকা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল বাংলা সাহিত্যে। রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকায়। মূলত তাঁর লেখার জন্যই অধীর অপেক্ষায় থাকতেন পাঠকেরা। ‘প্রবাসী’কে সাজিয়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন সুকুমার রায়। নামীদের গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখার পাশাপাশি ছাপা হত দেশ-বিদেশের শিল্পীদের ছবি। সম্পাদক হিসেবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন রামানন্দ। সম্পাদনা করেছেন ৪২ বছর। মৃত্যুর পরে দায়িত্ব নেন দুই পুত্র। সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় প্রাবন্ধিক তুলে ধরেছেন ‘রামানন্দ ও প্রবাসী’ লেখায়।
‘মানসী’ এবং ‘মর্মবাণী’ পত্রিকা দুটি নিয়ে আছে একটি প্রবন্ধ। শিরোনাম ‘মর্মরিত মানসী ও মর্মবাণী’।
আরও পড়ুন-বিজেপির প্রার্থীতালিকায় ধর্ষণ, গণহত্যার মদতদাতাদের নাম
এবার ‘ভারতবর্ষ’। যে পত্রিকাকে জলধর সেন পৌঁছে দিয়েছিলেন অসামান্য উচ্চতায়। যদিও শুরুতে সম্পাদনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে। কাজ শুরু মাত্র তিনি প্রয়াত হন। তাঁর আদর্শকে শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন জলধর। প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস লিখেছেন অনেকেই। তবে ‘প্রবাসী’তে যেমন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, ‘ভারতবর্ষ’-এ তেমন শরৎচন্দ্র। মনে করা হত, সাধারণ পাঠকসমাজে ভারতবর্ষ-র জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চাবিকাঠি ছিল শরৎচন্দ্রের হাতে। ‘ভারতবর্ষ : শরৎচন্দ্রময় হলেও শরৎচন্দ্রসর্বস্ব নয়’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন, ‘জলধরের নিরন্তর তাগিদ ছাড়া অনেক গল্প-উপন্যাসই হয়তো শরৎচন্দ্রের লেখা হত না।’
প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘সবুজ পত্র’। বুদ্ধদেব বসুর কথায়, ‘বাংলা ভাষার প্রথম লিটল ম্যাগাজিন’। পত্রিকাটি ঘিরেই শুরু হয়েছিল নিরবচ্ছিন্ন চলিত গদ্যের চর্চা। নিজেকে নতুন করে মেলে ধরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। জানা যায় ‘সবুজ পত্র-এর সজীব অধ্যায়’ প্রবন্ধে।
‘নারায়ণ’ সম্পাদনা করতেন চিত্তরঞ্জন দাশ। এই পত্রিকার কথা আলোচিত হয়েছে ‘চিত্তরঞ্জনের নারায়ণ’ প্রবন্ধে। ‘বঙ্গবাণী’র কথা উঠে এসেছে ‘ব্যতিক্রমী বঙ্গবাসী’ লেখায়। দুটি পত্রিকাই সেইসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
আরও পড়ুন-মিডিয়া ট্রায়াল ভয়ঙ্কর: প্রধান বিচারপতি
অতুলপ্রসাদ সেনের আগ্রহে প্রকাশিত হয়েছিল ‘উত্তরা’। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথও। সাধারণ সংখ্যার পাশাপাশি বেরিয়েছিল কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা। উল্লেখ রয়েছে ‘অতুলপ্রসাদের অতুলনীয় উত্তরা’ প্রবন্ধে।
বাংলা সাহিত্যে একটা যুগের নাম ‘কল্লোল’। দীর্ঘায়ু হয়নি পত্রিকা। তার মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসে। কী উদ্দেশ্যে জন্ম, কারা ছিলেন পিছনে, প্রাবন্ধিক বিস্তারিত লিখেছেন ‘কল্লোল-এর কবিতা : কবিতার কল্লোল’ প্রবন্ধে। পত্রিকাটি বাংলা কবিতাকে দিয়েছিল নতুন স্বর।
আরও একটি অনবদ্য প্রবন্ধ ‘সজনীকান্তের শনিবারের চিঠি’। সুদক্ষ সম্পাদক সজনীকান্ত দাশ ছিলেন রবীন্দ্র স্নেহধন্য। জানতেন কীভাবে পাঠকমহলে আলোড়ন তুলতে হয়। ‘শনিবারের চিঠি’ ছিল বিশিষ্টতায় উজ্জ্বল। পত্রিকা ঘিরে তৈরি হয়েছিল লেখকগোষ্ঠী। অন্যান্য লেখার পাশাপাশি ছাপা হত প্যারডি। সমস্তকিছু উল্লিখিত হয়েছে প্রবন্ধে।
আরও পড়ুন-ট্রেকিংয়ে মৃত্যু
‘কালি কলম : একটি স্মরণীয় অধ্যায়’ প্রবন্ধে ‘কালি কলম’, ‘বৈচিত্রময় বিচিত্রা’ প্রবন্ধে ‘বিচিত্রা’, ‘বিস্মৃত বঙ্গশ্রী’ প্রবন্ধে ‘বঙ্গশ্রী’ পত্রিকা সম্পর্কে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
‘কবিতাচর্চার আকাঙ্খিত পরিমণ্ডল তৈরি করতে চেয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কবিদের সম্মান জানিয়ে সম্ভ্রম জাগানোর মতো কবিতা ছাপবেন অতি যত্নে, এমন পরিকল্পনা নিয়েই বুদ্ধদেবের কবিতা পত্রিকার প্রকাশ।’ সংকলনের ‘বুদ্ধদেব বসুর ভালোবাসার কবিতা’ প্রবন্ধে লিখেছেন প্রাবন্ধিক। রবীন্দ্রনাথ এবং পরবর্তী সময়ের কবিরা নিজেদের প্রকাশ করেছেন উল্লেখযোগ্য এই পত্রিকায়। বেরিয়েছে বেশকিছু স্মৃতি সংখ্যাও।
প্রমদাচরণ সেন প্রকাশ করেছিলেন ‘সখা’। এই পত্রিকা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হয়েছে ‘সখা : প্রথম যথার্থ ছোটদের পত্রিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধে।
‘বালক’ সম্পাদনা করতেন জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। দীর্ঘজীবী হয়নি এই পত্রিকা। এক বছরে প্রকাশিত হয়েছিল এগারোটি সংখ্যা। জানা যায় ‘ঠাকুরবাড়ির বালক’ প্রবন্ধে।
আরও পড়ুন-৮ বছরে ২৬ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ করল কেন্দ্র
শিবনাথ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হত ‘মুকুল’। ছোটদের এই পত্রিকার পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে ‘প্রস্ফুটিত মুকুল’ শীর্ষক লেখায়।
এবার ‘সন্দেশ’। আত্মপ্রকাশ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর হাতে। এই পত্রিকা শিশুসাহিত্যের জগতে একটা নতুন দিনের উদ্বোধন করে দিয়েছিল। ‘চার পুরুষের সন্দেশ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক লিখেছেন,
‘ভালো লেখা, ভালো ইলাস্ট্রেশন, ভালো প্রচ্ছদ, ভালো ছাপা— সন্দেশ-এ ভালোর সমাহার দেখে ছোটোরা মুগ্ধ হয়েছিল।’ এই পত্রিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল উপস্থিতি। নানা সময় ‘সন্দেশ’ সম্পাদনা করেছেন সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী, সত্যজিৎ রায়, লীলা মজুমদার, নলিনী দাশ প্রমুখ। বেরোচ্ছে এখনও। সন্দীপ রায়ের সম্পাদনায়।
‘মৌচাক-এর সোনালি ফসল’, ‘শিশুসাথী : ছোটোদের অবিস্মরণীয় পত্রিকা’, ‘বর্ণময় রামধনু’, ‘যোগীন্দ্রনাথের কৈশোরক’, ‘হাসিখুশির পাঠশালা’, ‘কিশোর : ছোটোদের প্রথম দৈনিক’ প্রবন্ধগুলো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছোটদের পত্রিকাকে বিশেষভাবে জানতে সাহায্য করে। প্রতিটি পত্রিকার পিছনে ছিলেন এক-একজন দক্ষ সম্পাদক।
আরও পড়ুন-৮ বছরে ২৬ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ করল কেন্দ্র
আছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। শিরোনাম ‘পার্বণী : প্রথম পুজোবার্ষিকী’, ‘বার্ষিক শিশুসাথী : সুদীর্ঘ এক পথ পরিক্রমা’, ‘দুটি বার্ষিকী : একটি কবিতার, আরেকটি গল্পের’, ‘ছোটোদের জন্য বিজ্ঞান-রচনা, বিজ্ঞান পত্রিকা’, ‘সাহিত্যের আড্ডা : আড্ডার সাহিত্য’, ‘লিটল ম্যাগাজিনের কয়েক দশক’, ‘উৎসবের সাহিত্য, সাহিত্যের উৎসব’।
প্রত্যেকটি লেখার সঙ্গে দেওয়া হয়েছে উদ্ধৃতি। আছে সাল-তারিখের উল্লেখ, সম্পাদকদের দুষ্প্রাপ্য ছবি। বিভিন্ন লেখায় প্রাবন্ধিক ঘটিয়েছেন সুচিন্তিত ভাবনার প্রকাশ। কোনও ইতিহাস প্রণয়নে প্রয়াসী হননি তিনি। পাতায় পাতায় ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরোনো দিনের হারানো পত্রিকা সম্পর্কে অনেকানেক অজানা তথ্য। প্রকৃত সাহিত্যমনস্ক যাঁরা, বাংলা সাময়িকপত্র সম্পর্কে কৌতূহলী, লেখকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই অনবদ্য গ্রন্থ তাঁদের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।