প্রতিবেদন : এবার দুর্গাপুজোয় (Money Transaction in Puja) ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার একটা অংশ জনকল্যাণমূলক কাজে লাগানো হতে পারে। এই দুর্গাপুজোয় পরের বছরের লেনদেনের টাকা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করিনি, বললেন শতাব্দী
এবার রাজ্যে প্রায় ৪৫ হাজার পুজো হয়েছে। তার মধ্যে চার হাজারের বেশি পুজো হয়েছে কলকাতা ও শহরতলির বুকে। স্পনসরশিপ বাবদ এসেছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারও পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে। পরপর দু’বছর করোনা সংক্রমণের কারণে নমো নমো করে আয়োজন করা হয় পুজোর। শুধু প্রতিমা বা প্যান্ডেল নয়, পুজোর সঙ্গে যুক্ত সবরকমের ব্যবসা মার খেয়েছিল সেইসময়। কিন্তু এবার সেই না-পাওয়াকে যেন কড়ায়গন্ডায় উশুল করেছে সাধারণ মানুষ। তার প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। জামাকাপড়, জুতো ও অন্যান্য পোশাক সরঞ্জাম, খুচরো বাজার, হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ, সিনেমা ও অন্যান্য বিনোদন, পণ্যের প্রচার, বিপণন-সহ সর্বস্তরেই ভাল ব্যবসা হয়েছে এবার, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, কলকাতা তথা রাজ্যের পুজো এবং তার সঙ্গে যুক্ত সামগ্রিক বাজারের হিসেব কষলে, তা সাধারণত ৪০ হাজার কোটি (Money Transaction in Puja) টাকা ছাড়িয়ে যায়। এবার সেই অঙ্কই ৫০ হাজারে পৌঁছবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে প্রাথমিক সমীক্ষায়। সামনেই দেওয়ালি। দেশ জুড়ে সেই উৎসবে মাতবেন সবাই। এ-রাজ্যেও দীপাবলি ও ধনতেরাসের মতো উৎসবে ফের চাঙ্গা হবে বাজার। উৎসব-কেন্দ্রিক ব্যবসার মোট অঙ্ক আরও কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।