প্রতিবেদন : নেটে গোপাল বসু। ময়দানের তৎকালীন পোড়খাওয়া কোচ প্রদ্যুৎ মিত্র তাঁকে বল করতে একটি বাচ্চা মেয়ের হাতে বল তুলে দিলেন। গোপাল তখন ইন্ডিয়া ক্রিকেটার। রেগে গিয়ে কোচকে বললেন, কী করছেন আপনি? একটা মেয়ের বলে বোল্ড হলে লোকে কী বলবে? না, আমি ব্যাটই করব না। বলে নেট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন!
আরও পড়ুন-গোলকিপারকে লাথি, বিতর্কে রোনাল্ডো
গোপালের পর ব্যাট করার কথা ছিল রাজু মুখোপাধ্যায়ের। কোচ এবার তাঁকে বললেন, কি তুমি যাবে? রাজু গেলেন এবং সত্যিই বোল্ড হয়ে গেলেন। সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়েটি শর্মিলা চক্রবর্তী। ঘটনাচক্রে রাজু আর শর্মিলা শনিবার সিএবির পুরস্কার মঞ্চে কার্তিক বোস লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড পেলেন। ফুল, ব্লেজারের সঙ্গে দু’লাখ টাকার চেক। টাকাটা রাজু ইডেনের মাঠ কর্মীদের জন্য দিয়ে গেলেন। বললেন, এত ভাল মাঠ পৃথিবীর কোথাও নেই। পুরো কৃতিত্ব ওদের। এর সঙ্গে মরণোত্তর লাইফটাইমের দাবিও জানিয়ে গেলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশে। রাজু মনে করিয়ে দিলেন, প্রয়াত পঙ্কজ রায়কে এই সম্মান জানানো হয়নি। পুরস্কার নিয়ে শর্মিলাও সিএবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে যান।
আরও পড়ুন-‘ভারতের বাস্তবচিত্র লুকিয়ে রাখার চেষ্টা’ এক্সে কেন্দ্রকে নিশানা রাহুলের
আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে হল এবারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি সিএবির প্রশংসা করে বললেন, আগে ভারতীয় ফুটবল দলে ৮-৯ জন বাংলার প্লেয়ার থাকত। এখন ভারতীয় ক্রিকেট দলে বাংলার ১-২ জন খেলছে। এর কৃতিত্ব সিএবির। তিনি বলেন, এখন সবাই ক্রিকেট খেলতে চায়। সিএবির উদ্যোগে আরও কোচিং ক্যাম্প তৈরি হোক। যাতে বাংলার ছেলেরা ভারতীয় দলে খেলতে পারে। এদিনের অনুষ্ঠানে সিএবির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হল। পুরস্কার তুলে দেন ঝুলন গোস্বামীও। পুরস্কৃত হলেন বর্ষসেরারাও। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন নচিকেতা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল আইসিসি বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শন।