শান্তনু বেরা, দিঘা: ইংরেজি নববর্ষ, তায় টানা ছুটি। সব মিলিয়ে নতুন বছরে ভিড়ে ঠাসা দিঘা (New Year- Digha)। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত দশ বছরে এমন জনসমাগম দেখেনি এই সৈকত শহর। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সৈকত হাজরা বলেন, এবার বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজর ছিল পর্ষদের। নির্দেশিকা ছিল, যত্রতত্র পিকনিক করা যাবে না এবং পিকনিকে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না। হেলিপ্যাড ময়দানের কাছে অস্থায়ী পিকনিক স্পট এবং পার্কিং প্লেস নির্দিষ্ট হয়েছে। ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ভিড় সামাল দিতে প্রতিটি স্নানঘাটে অতিরিক্ত পুলিস রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চলেছে। মেরিনড্রাইভে মোটরবাইক রেস নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সতর্কতা ছিল। দিঘা (New Year- Digha) শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, এদিন প্রায় দেড় লক্ষ পর্যটক এসেছে। রবিবার রাতভরই পর্যটকদের গাড়ি ঢুকতে থাকে। ওড়িশা সীমান্তে দিনভর নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। সমুদ্রে ছিল অতিরিক্ত নুলিয়া। ওল্ড দিঘা থেকে উদয়পুর— প্রতিটি ঘাটেই নজরদারি চালান সিভিক ভলান্টিয়াররা। স্পিডবোটে টহল দেয় কোস্টাল পুলিশ। শহরে ছিল মহিলা পুলিশের ‘ উইনার্স’ দল। পর্যটকদের সাহায্যে রয়েছে পুলিশের হেল্প ক্যাম্প। শীতে শান্ত থাকে সমুদ্র। তাই সকাল থেকেই ধুম পড়ে স্নানের। ওল্ড দিঘার অ্যাকোয়ারিয়াম, নিউ দিঘার জুরাসিক পার্ক, সায়েন্স সিটি ও অমরাবতী পার্ক, ঢেউ সাগর পার্ক, জাহাজবাড়িতে সেভেন ডি শো দেখতে ভিড় করেন পর্যটক। হোটেল-লজগুলি আলোকমালায় সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ইউনুসের কারাদণ্ড