বাংলায় চলছে ‘বিপ্লব’, বললেন শিল্পপতিরা

কেউ বললেন ডায়নামিক, কেউ বললেন প্র্যাগমেটিক কেউ বললেন ইন্ডাস্ট্রি ফ্রেন্ডলি আবার কারও মুখে শোনা গেল আমাদের দিদি না থাকলে বাংলা আজ এই জায়গায় পৌঁছত না

Must read

কুণাল ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী

কেউ বললেন ডায়নামিক, কেউ বললেন প্র্যাগমেটিক কেউ বললেন ইন্ডাস্ট্রি ফ্রেন্ডলি আবার কারও মুখে শোনা গেল আমাদের দিদি না থাকলে বাংলা আজ এই জায়গায় পৌঁছত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। আর আমরা যারা দীর্ঘদিন এই রাজ্যে বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত তারা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় শিল্পবিপ্লব ঘটিয়েছেন। আর সামাজিক ক্ষেত্রে-পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে-পরিকল্পনায়-ভিশনে পরিবর্তন না হলে শিল্পে পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়। এই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-কসবা হাইস্কুল নিয়ে সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

দিদি নিজে যেমন স্বপ্ন দেখতে জানেন, তেমনি স্বপ্ন দেখাতেও জানেন। শুধু স্বপ্ন দেখাই নয়, তা বাস্তবায়িত করার জন্য যা করার দরকার দিদি সবটা করছেন। তাই এতদূর ছুটে এসে এটুকু আপনাদের বলতে পারি আসুন বাংলায় বিনিয়োগ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা সত্যিই বদলে গিয়েছে। মাদ্রিদের পরে বার্সেলোনা। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ঢালাও প্রশংসা করলেন হর্ষ নেওটিয়া, উমেশ চৌধুরী, কমল মিত্তাল, তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা, রমেশ জুনেজার মতো নামজাদা শিল্পপতিরা। সকলের মুখেই শুধু বদলে যাওয়া বাংলার কথা।
সম্মেলনের শুরুতেই সম্মেলনের সুর বেঁধে দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলা। বাংলার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ২১-২৩ নভেম্বর শিল্প সম্মেলনে আপনাদের উপস্থিত থাকার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এরপর হর্ষ নেওটিয়া মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের সরকারের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রয়েছে। বিদ্যুতের সমস্যা নেই, যেটা কয়েক দশক আগেও ছিল। শ্রমিক-সমস্যা একেবারে নেই। বাংলার মানুষ অত্যন্ত দক্ষ। হর্ষ বলেন, নেওটিয়া পরিবার গত ১২০ বছর ধরে বাংলায় থাকে। গত ১০-১২ ধরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে রাজ্যে। ব্যবসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি হয়েছে। পরিবারে বড় দিদির মতোই কাজ করে চলেছেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।

আরও পড়ুন-শুরুতেই পাঁচ গোল খেল ভারত

টিটাগড় ম্যানুফাকচারিং-এর উমেশ চৌধুরী বলেন, ২৫-২৬ বছর ধরে কাজ করছি বাংলায়। রেলের একাধিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। বাংলায় একাধিক দেশের সীমান্ত রয়েছে। ফলে ব্যবসায়িক দিক থেকে বাংলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কোনও সমস্যা নেই। সহযোগিতা চাইলেই সরকারের সাহায্য আপনার দরজায়।
শিল্পপতি কমল মিত্তাল ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে ২৫০ কোটি টাকা বাংলায় লগ্নি করার কথা ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ৩৩ বছর ধরে স্পেনে আমরা রেলওয়ে স্লিপার তৈরি করছি। বাংলায় কারখানা রয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আমরা সেখানে শিল্প-সম্প্রসারণ এবং নতুন কারখানা স্থাপন করব। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে বাংলায় শ্রমিক-সমস্যা ছিল। এখন নেই। ১০-১২ বছরে প্রবল গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলা। লগ্নিকারী হিসাবে বলব, সবাই বাংলায় আসুন। নতুন লগ্নির কথাও বলেন তিনি।

আরও পড়ুন-‘রাষ্ট্রপতি কোথায়?’ এক্সে সরব ডেরেক ও সাকেত

একই কথা বললেন উমেশ চৌধুরী, তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা, রমেশ জুনেজা। লেদার কিং জুনেজা বলেন, বাংলায় লেদার কমপ্লেক্স রয়েছে। সেখানে পাঁচ লক্ষ লোক কাজ করে। আমরা এক্সপোর্ট করি। আমাদের সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন দিদি। আপনারাও আসুন বাংলায়। সব শেষে ধন্যবাদ জানান আইসিসির প্রেসিডেন্ট মেহুল মোহাঙ্কা। অসাধারণ দক্ষতায় শিল্প-সম্মেলনে সূত্রধরের কাজটি করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article