বাসুদেব ভট্টাচার্য, জলপাইগুড়ি : বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে চিতাবাঘ। মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে বন্যপ্রাণীদের। কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত, তার প্রশিক্ষণ নিতে মুম্বই পাড়ি দিচ্ছে রাজ্য বন দফতর। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই। থাকছে ৬ সদস্যের একটি দল। লোকালয়ে চিতাবাঘ, এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক অথরিটি বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাতে চিতাবাঘের উপদ্রব অনেকটাই কমেছে ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন-২৭ মার্চ থেকেই শুরু হতে চলেছে স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা
এখানেই হাতেকলমে শিক্ষা নিতে রাজ্য বন দফতরের ওই দলটি মহারাষ্ট্রে যাচ্ছে বলে জানান রাজ্যের বন্যপ্রাণী বিভাগের প্রধান মুখ্য বনপাল দেবল রায়। তিনি বলেন, ‘‘দলটি ফিরে এসে রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চল এলাকায় প্রশিক্ষণ দেবে। এর ফলে অনেকটাই সমস্যা মিটবে।’’ রাজ্যে চিতাবাঘের সংখ্যা কত তা সঠিক ভাবে জানা যাচ্ছে না, তার মূল কারণ অন্যান্য পশু গণনা হলেও লেপার্ড গণনা এখনও হয়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যে চিতাবাঘের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের জঙ্গলেই প্রায় ৩ হাজার চিতাবাঘ আছে বলে বন দফতরের অনুমান। ক্রমেই এই সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে এরা মাঝেমধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।
বন দফতর জানিয়েছে, লোকালয়ে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলি হল, খাবারের খোঁজে, সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে এবং একটি অন্যতম কারণ হল সন্তান প্রসবের সময় নিরাপদ, নিরিবিলি জায়গার খোঁজে চা-বাগান এলাকায় ঢুকে পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় দিক ভুল করেও এরা জঙ্গলের বাইরে চলে আসে। তখনই মানুষের সঙ্গে সংঘাত বাধে। এই অবস্থায় কী করণীয়? কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে কখনও কখনও বেশ চিন্তায় পড়ে যায় খোদ বন দফতর। প্রশিক্ষণের পর এই চিন্তার অবসান ঘটবে বলেই মত বন দফতরের।