সোমনাথ বিশ্বাস: ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা তিনবারই তিনি বিধায়ক হয়েছেন। একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন কেন্দ্রের পাওয়ার আর মানির জোরে যখন দল বিজেপি দল ভাঙানোতে ব্যস্ত, তখনও পার্থ ভৌমিক এর পায়ের তলার মাটি ছিল শক্ত। কোনও প্রলোভনে পা না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক হিসেবে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছেন। ভেঙে যাওয়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সংগঠনকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছেন। দল তার ফলও পেয়েছে। এই পার্থ ভৌমিক এবার রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সেচ ও জলসম্পদ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-মার্শিয়েলের চোটে সুযোগ রোনাল্ডোর
আজ, বৃহস্পতিবার সল্টলেকে নিজের দফতরে গিয়ে দায়িত্ব ভার বুঝে নেন পার্থ ভৌমিক। প্রথমবার মন্ত্রিত্ব পেয়ে পার্থর প্রতিক্রিয়া, আগে তিনি দলের হয়ে একটি ছোট্ট পরিসরে কাজ করতেন। এখন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা করে যে গুরুদায়িত্ব দায়িত্ব তাঁকে দিয়েছেন, সেটা নিজের একশো শতাংশ দিয়ে সততার সঙ্গে পালন করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কাজের যে রূপরেখা তৈরি করে দেবেন সেটা কার্যকরী করাই তাঁর মুখ্য কাজ হবে। কাজের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ভরসার মর্যাদা দিতে চান পার্থ ভৌমিক।
প্রথমবারের জন্য মন্ত্রিত্ব পেয়ে কতটা উচ্ছসিত তিনি? এ প্রশ্নের উত্তরে পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘২০২১-এ ভোটের ফল ঘোষণার দিনটি ছিল আমার জন্য ছিল সবচেয়ে বেশি আনন্দের। যখন বহিরাহগত ও গদ্দারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেকের উপরই ভরসা রেখেছিলেন।”
আরও পড়ুন-কাজ শুরু করে দিলেন নতুন মন্ত্রীরা
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক হিসেবে তিনি অভিজ্ঞ, সফল। কিন্তু মন্ত্রী হিসেবে তিনি একেবারেই নতুন। এ ক্ষেত্রে পার্থর বক্তব্য, সেচ দফতরের আগের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র যে রূপরেখা তৈরি করে রেখেছিলেন তিনি ওনার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন। তাঁর থেকে গাইডলাইন নেবেন। তাঁর ছেড়ে যাওয়া কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবেন। আর মাথার উপর তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তাই কোনও চিন্তা নেই। দিদির নির্দেশে সবকাজ সঠিকভাবে সামলে নেবেন আত্মবিশ্বাসী পার্থ ভৌমিক। দিদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়…!