শান্তনু বেরা, দিঘা: দিঘাকে (Digha) ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ মন্দির, মেরিন ড্রাইভের পর দিঘার মুকুটে এবার নতুন পালক, ‘সুসজ্জিত প্রমোদতরী’। একেবারে গোয়ার মতো দিঘার সমুদ্রেও নামতে চলেছে এই তরী। রাজ্যের সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী এই প্রথম। পর্যটকদের বিনোদন ও আনন্দের জন্য, পুজোর আগেই শুরু হয়ে যেতে পারে দিঘার এই নতুন আকর্ষণ। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামের প্রমোদতরীটি ইতিমধ্যেই দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা। তাই এবার আর তীরে বসে সমুদ্র দেখা বা সমুদ্রস্নানেই সীমিত থাকবে না পর্যটকদের আনন্দ। তাঁরা প্রমোদতরীতে চেপে সমুদ্রযাত্রার আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন। শঙ্করপুরের ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন সমুদ্র মোহনা থেকে ছাড়বে এই তরী। তার যাত্রাপথের একদিকে দেখা যাবে সমুদ্রের তীর বরাবর দিঘা (Digha) থেকে শৌলা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটারে মেরিন ড্রাইভ। তার মাঝখানে ঝাউবন। এক অপূর্ব মনোরম পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভেসে চলবেন পর্যটকরা। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণির পাশাপাশি খাঁড়ি এলাকাগুলিতেও ঘুরবে জলযানটি। তরীর ভিতরে রেস্তোরাঁর পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। যেখানে বাউল থেকে আধুনিক গান— সবই পরিবেশিত হবে। পাশাপাশি, সমুদ্রতীরবর্তী মৎস্যজীবীদের গ্রাম এবং তাঁদের কর্মকাণ্ড দেখারও সুযোগ রয়েছে। যাত্রা শেষে ফের ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ফিরে আসবে প্রমোদতরীটি। অনুষ্ঠান, পার্টি প্রভৃতির জন্য ভাড়াও করা যাবে এমভি নিবেদিতা। এই প্রকল্প বাস্তব করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রমোদতরীর পরিকল্পনা আজকের নয়। ২০১৯ সালেই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-২ হাজারের নোট নিয়ে চরম বিভ্রান্তি, ফর্ম ফিলাপ, পরিচয়পত্র কেন?