তাঁতের শাড়ির টানে কাটোয়ায় হাজির নোবেলজয়ী অভিজিৎ

Must read

চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া : কাটোয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম আমডাঙায় হঠাৎ হাজির নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য, এখানকার বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি কেনা। গ্রামের হরিতলা তাঁতিপাড়ায় সদল হাজির এমন ভিভিআইপিকে দেখে ঘোর লাগার জোগাড় গোটা গ্রামের। আগেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় গোটা গ্রাম। তারপরে ঢোকে অভিজিৎবাবুর কনভয়। তবে গাড়ি থেকে নামা ইস্তক অভিজিৎবাবুকে দেখে মনেই হয়নি, তিনি এমন ওজনদার মানুষ। পায়ে হেঁটে তাঁতিদের দরজায় দরজায় ঘুরলেন। কীভাবে তাঁত বোনা হচ্ছে, কীভাবে নকশা তোলা হচ্ছে, কীভাবে সুতো যন্ত্রে ফেলা হচ্ছে, সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। সুতির জামদানি শাড়ি কেনেন বেশ কয়েকটা।

আরও পড়ুন : নয়া ৩৮ ডগ স্কোয়াড, ২১৬ নয়া অতিথি

গ্রামের তরফে তাঁতিদের হাতে তৈরি উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয় দারিদ্র নিয়ে গবেষণায় সফল নোবেলজয়ীকে। তাঁতের শাড়ি দেখে বেজায় খুশি অভিজিৎবাবু বললেন, ‘‘এখানকার তাঁতবস্ত্রের কথা শোনার পর থেকেই একবার সবকিছু নিজের চোখে দেখার ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছে পূরণ হল। খুবই ভাল লাগল।’’ তাঁতশিল্পী গদাই দাস বলছিলেন, ‘‘অতবড় মানুষ, অথচ কোনও গুমর নেই। আমাদের সঙ্গে মাটিতে বসেই খাওয়াদাওয়া করলেন। প্রণাম করতে গেলাম। না নিয়ে বললেন, এখন আর ওসব নেই।’’ আমডাঙা গ্রামে এতবড় মাপের মানুষের পা পড়ায় আপ্লুত সংশ্লিষ্ট জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম ঘোষাল বললেন, ‘‘ওঁর ছোঁয়ায় এখানকার তাঁত যদি আরও একটু বিস্তারলাভ করে তাহলে ভাল হয়।’’ এখানকার আমডাঙাই শুধু নয়, লাগোয়া পাঁচবেড়িয়া, মুস্থুলি, একডালা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকাই তাঁতবোনা। এখানে তৈরি টাঙ্গাইল, জামদানির কদর ভিনদেশেও। তাতে বাড়তি মাত্রা জুড়ল নোবেলজয়ীর ঝটিকাসফর।

আরও পড়ুন : তাঁতের শাড়ির টানে কাটোয়ায় হাজির নোবেলজয়ী অভিজিৎ

আমতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন একটু অন্যরকমভাবে পালন করলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার আমতার একটি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। অমরাগোড়ির ওই বৃদ্ধাশ্রমে ২৫ জন মহিলা থাকেন। সকালে চা-বিস্কুট থেকে শুরু করে দুপুরে শুক্তো, ডাল, বেগুনি, আলু-ফুলকপির তরকারি, মাছের ঝোল, চাটনি, পাঁপড়, দই-মিষ্টি সহযোগে মধ্যাহ্নভোজ সারেন আবাসিকরা। সন্ধ্যায় চা ও হালকা স্ন্যাক্স। রাতেও চলে খাওয়াদাওয়া। সুকান্তর এই উদ্যোগে বেজায় খুশি তাঁরা। সুকান্ত বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় নেতা সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। এদিন তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এলাকার বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করি।’’ আমতার বেশ কিছু এলাকায় জন্মদিন উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ করেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।

 

Latest article