ভারত-চিন সীমান্ত গালওয়ানে শত্রুর হামলায় শহিদ হন মহম্মদ বাজারের বেলগড়িয়া গ্রামের যুবক রাজেশ ওরাং। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বুধবার সভার শেষে শহিদ জওয়ানের গ্রামে যান তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । শহিদ বেদি শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপরে কথা বলেন রাজেশের পরিবারের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- মালদহের পরে বীরভূম, বিধানসভায় ১১-তে ১১টিতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক
গ্রামে অভিষেককে ধামসা, মাদল ও নাকাড়া বাজিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয়রা। ২০২০ সালে গালওয়ানে শহিদ হন রাজেশ ওরাং (Rajesh Orang)। এদিন সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, “একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেকে ভুলে যায়। আমরা ভুলি না। অনেকে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা সেটাকে ঘৃণা করি। শহিদ রাজেশ ওরাংয়ের বাবা, মা-সহ পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। আমরা তাঁদের পাশে আছি।“ রাজ্যন সরকারের পরিষেবাগুলি পাচ্ছেন কি না সেটা জানতে চান অভিষেক। রাজ্যে র দেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা তারা পেয়েছেন। শহিদের বোন শকুন্তলা জেলাশাসকের অফিসে চাকরি পেয়েছেন। তবে শহিদ রাজেশের বাবা সুভাষ ওরাং কৃষকবন্ধু কার্ড নেই। মায়ের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। সেগুলির দ্রুত ব্যাবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন অভিষেক। পরিবারের শিশুদের আদর করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বন্দ্যো্পাধ্যা্য় দেখা করতে যাওয়ায় আপ্লুত ওরাং পরিবার।
শহিদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে ডেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গ। গ্রামবাসীদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক জানান, সময় লাগবে। কাজ চলছে। নিয়োগের বিষয়ে অভিষেক আশ্বস্ত করে বলেন, নিয়োগ চলছে। বারোশো পুলিশে নিয়োগ হয়েছে।