পরিকল্পিত হামলা, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। কিন্তু দিনের শেষে বিজেপির কোনও তাসই কাজে এল না। ত্রিপুরার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসে ভেঙে গেল শাসকের চক্রান্তের ব্যারিকেড। ঐতিহাসিক জনজোয়ারে ভাসল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড- শো।
বরদোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হুডখোলা গাড়িতে রোড-শো’র যাত্রা শুরু। ক্রমশ সেই রোড-শো মহামিছিলের চেহারা নিল। দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার যাত্রাপথে মানুষের আবেগ ছুঁলেন অভিষেক। সেই সঙ্গে প্রবল উচ্ছ্বাসে উঠল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। হাওয়ার রং বদলে গেল সবুজে। প্যারাডাইস চৌমোহানি, হরিগঙ্গা বসাক রোড, ওল্ড মোটর স্ট্যান্ড, গণরাজ চৌমোহানি, লাল বাহাদুর ক্লাব, ভগবান ঠাকুর চৌমোহানি, অভয়নগর, কুমারীটিলা হয়ে জিবি বাজার। রাস্তায় থিকথিকে ভিড়। চারদিকে অগুনতি মাথা। ভিড়ে নজরকাড়া উপস্থিতি মহিলাদের। যেকোনও পরিবর্তনের লড়াইয়ে অর্ধেক আকাশই নির্ণায়ক। অথচ বিজেপি সেই নারীশক্তিকেই অপমান করে।
আরও পড়ুন- মা মাটি মানুষের সরকারের ১১ বছর, শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে বাংলা
অভিষেকের রোড- শো’তে সঙ্গে ছিলেন আগরতলা ও বরদোয়ালি, এই দুই কেন্দ্রের দুই মহিলা প্রার্থী। পান্না দেব ও সংহিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, দলের ত্রিপুরার ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষরা। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক। জিবি বাজারের কাছে সেই মিছিল শেষের পর হল পথসভা। বক্তব্য রাখেন অভিষেক। বলেন, একটু বৃষ্টি হলে আমাদের পক্ষে শুভ হয়। নিশ্চিতভাবে বহু মানুষ আমাদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন। ছাদে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমাদের মিছিল দেখেছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। গত অগাস্ট মাসে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। ১০ মাস অতিবাহিত হল। এই ১০ মাসে বিজেপি আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। আমি আবার ২০ তারিখ আসব৷ ১৫ দিন অন্তর আসব। আমাদের প্রার্থীদের ভোট দেওয়া মানে সোজাসুজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। তাই এঁদের ভোট দিন। পরিবর্তন আনতে হবে। ২৩ জুন খুঁটিপুজো করুন। ২৩ সালে বিসর্জন হবে। হাততালির আওয়াজে তখন জনস্রোতে তুফান উঠেছে। এই তুফানে ভর করেই তৃণমূলের নেতৃত্বে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছে ত্রিপুরা।