প্রতিবেদন : পুরভোটের প্রচারে ২২ নভেম্বর ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ২০ নভেম্বর যাবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। ২৩ তারিখ শেষ হচ্ছে প্রচার। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় লাগামহীন সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও ত্রিপুরার পুলিশ প্রশাসন তা বিন্দু মাত্র গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপির ভয়াবহ সন্ত্রাসকে মদত দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসেের প্রার্থীরা যাতে প্রচার করতে বা পারেন তার সবরকম ব্যবস্থা করেছে। এই আবহেই প্রচারে ত্রিপুরায় পা রাখছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
শুক্রবার সকাল থেকে ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের সামনে মিছিল করে এসে ধরনা দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব -কর্মী -সমর্থকরা। ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচন করতে হলে সু্প্রিম কোর্ট কিংবা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে এই অজার্ভার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে তার পর্যবেক্ষণে পুরভোট করতে হবে। সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন না করালে মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। এই নির্বাচন প্রহসনে পরিনত হবে।
আরও পড়ুন : Ramiz Raja : ভারতের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের পক্ষে সওয়াল রামিজ রাজার
সুবল ভৌমিক বলেন, বিজেপির উদ্দ্যেশ্য যেভাবেই হোক ভোট লুঠ করা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রচার করতে বা দেওয়া। বিজেপি বুঝে গেছে ত্রিপুরায় ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। ওরা আর জিততে পারবে না। তাই এই ভয়াবহ সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশন চুপ করে আছে। অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই নির্বাচন কমিশনের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই।
শুক্রবার এই অবস্থান ধরনায় যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানান, যে ভাবে বিজেপি এখানে নির্বাচন করতে চাইছে তা মানা যায় না। বিজেপি যদি মনে করে এভাবে ক্ষমতা ধরে রাখবে তাহলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করব না কিন্তু এই ধরণের ভুল পদক্ষেপই বিজেপিকে আরও তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে। সুবল ভৌমিক, সাংসদ সুস্মিতা দেব, বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও এদিন নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্ণায় ছিলেন নারায়ণ গোস্বামী, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ দলের সবস্তরের নেতা – কর্মীরা সকলেই এক সুরে এদিন দাবী তুলেছেন ত্রিপুরায় অবাধ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু ত্রিপুরার প্রশাসন ও এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।