প্রতিবেদন : এ যেন একাধিক নদী এসে মিশে যায় মহাসমুদ্রে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ র্যালিতে ঠিক সেইভাবেই একের পর এক মিছিল এসে একাকার হয়ে গেল মিলেমিশে। শুধু মিছিল কেন, উদ্দীপিত হাজারো জনতাও পায়ে পায়ে মিলে গেল জনপ্লাবনে। শুক্রবারই ছিল কলকাতা পুরনির্বাচনের প্রচারের শেষদিন। শেষ প্রহরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারাভিযানকে এক স্বতন্ত্র মাত্রা দিলেন অভিষেক। বালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট— তাঁর র্যালিকে কেন্দ্র করে যেন এক উৎসবের মেজাজ। সুসজ্জিত প্রচারের গাড়ির উপরে মধ্যমণি অভিষেক। নেভি ব্লু শার্টের বুকে দলের নির্বাচনী প্রতীক। নিবিড় জনসম্পর্ক এবং জনপ্রিয়তার নিখুঁত প্রতিফলন। রাস্তার ধারে, বাড়ির বারান্দায়, ছাদে আপ্লুত মানুষ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করজোড়ে, হাত নেড়ে, মিষ্টি হাসিতে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তাঁদের সঙ্গে। গাড়িতে তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী এবং প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন : চলচ্চিত্র পরিচালক মোনালিসা দলের চমক
কিছুটা পরে গাড়িতে উঠলেন বিধায়ক তথা প্রার্থী দেবাশিস কুমার এবং সাংসদ তথা প্রার্থী মালা রায়। বালিগঞ্জ, হাজরা রোড, ল্যান্সডাউন, পদ্মপুকুর, কালীঘাট— প্রায় ছ’টি ওয়ার্ডের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে অভিষেকের বর্ণাঢ্য র্যালি। তেরঙ্গা বেলুন, পতাকার পাশাপাশি ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তবে কোভিড-সুরক্ষার প্রশ্নেও মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন যথেষ্ট সচেতন। নিরাপত্তার আয়োজনও ছিল ব্যাপক। চলছিল ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। যুবসমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এদিন নজর কেড়েছে বিশেষভাবে। তরুণ-তরুণীরা আঙুলে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে এগিয়ে চলেছেন হাসিমুখে। মিছিল শেষে কালীঘাটে দলের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বক্তব্য পেশ করলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল উত্তর কলকাতায়। অভিষেকের প্রচারাভিযানে মানুষের আবেগপূর্ণ সাড়াই বুঝিয়ে দিয়েছিল উত্তরে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার মানুষও বুঝিয়ে দিলেন তাঁদের ভাবনায়, আশা-আকাঙ্ক্ষায় শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই।