জনসংযোগে জেলায় জেলায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার টানা ৩দিন চড়া রোদ উপেক্ষা করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। জনসংযোগ যাত্রার তৃতীয় দিনে আলিপুরদুুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রামের মঞ্চ থেকে ফের বিরোধীদের একহাত নিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee) বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানালেন, “৬০ দিন বাইরে থাকব আমি, বিরোধীরা ৬ দিন থেকে দেখান’।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, মানুষ যাঁকে মান্যতা দেবে, তিনিই হবেন প্রার্থী। আগামী দিনে পঞ্চায়েত হবে মানুষের পঞ্চায়েত। আলিপুরদুয়ারে লোকসভায় যাঁকে জিতিয়েছিলেন, তাঁর টিকি পর্যন্ত দেখা যায়নি। বিজেপি-কে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা, দু’টোই এক।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যাতে আগামী পাঁচ বছর মাথা নিচু করে কাজ করেন সেটি নিশ্চিত করতেই তিনি এসেছেন। এটিই তৃণমূলের নবজোয়ার (Trinamoole Nobo Jowar)। এদিন অভিষেক সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘ধর্ম বাড়িতে করব, ভোট দেব নিজের অধিকারের স্বার্থে। এটা ঠিক করুন।’
আরও পড়ুন: ফের চড়ছে তাপমাত্রার পারদ, রয়েছে একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
১০০ দিনের টাকা মোদি সরকার আটকে রাখার প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনার বাড়ির টাকা, মোদি সরকার আটকে রেখেছে’। তাই আর্জি, ‘আগামী দিনে পঞ্চায়েতে ভোটে এমন প্রার্থী বাছুন, যে দিল্লির বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়তে পারে।’
আলিপুরদুয়ারবাসীকে অভিষেক জানান, ২০১৯-র নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল আশানুরূপ ফল করেনি। লোকসভায় হেরেছে দল কিন্তু লোকসভায় যাঁকে জিতিয়েছিলেন, তাঁর টিকিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, “পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে, আলিপুরদুয়ারের মানুষ ৫টি বিধানসভা আসনেই বিজেপিকে জিতিয়েছে। কারণ, আপনারা হয়তো ভেবেছিলেন, আগামীদিনে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি মিলে আলাদা রাজ্য গড়বে বিজেপি এবং আপনারা অধিকার পাবেন। এখন আপনারা বুঝতে পারছেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা এক।’ অভিষেকের আর্জি, ভবিষ্যতে যেন নিজেদের অধিকারের কথা মাথায় রেখেই ভোট দেন আলিপুরদুয়ারের মানুষ।