বীরভূমের জেলা সভাপতি তিহারে বন্দি। সেখানে দাঁড়িয়েই বিধানসভা নির্বাচনে ১১-০ করা ডাক দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে এখন বীরভূমে রয়েছেন তিনি সেখানে বুধবার, মহম্মদবাজারের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “১০টি গোল আমরা দিয়েছি। একটিতে হেরেছি। কিন্তু আগামী নির্বাচনে ১১-০ হবে। আর পঞ্চায়েতকে সামনে রেখে মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসাকে পাথেয় করে প্রত্যেকটা পঞ্চায়েতে আমাদের জিততেই হবে।“
গত বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে জেতে তৃণমূল, একটি যায় বিজেপির দখলে। এবার ১১-তে ১১টিতেই জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক। একইসঙ্গে মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে একযোগে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, “আমরা কথা দিয়ে, কথা রেখেছি। আমরা মিথ্যা কথা মানুষকে বলি না। আমরা বলি না যে, ক্ষমতা এলে ১৫ লক্ষ দেব। তারপর নির্বাচনে জেতার পর কেটে পড়ি না। আমরা বলেছিলাম, ক্ষমতায় এলে পরিবারের একজনকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার আসার পর, একজনকে নয়, পরিবারের সবাইকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছে। এটাই হচ্ছে তাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য’।“ অভিষেকের কথায়, নরেন্দ্র মোদি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন- ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় এবার স্থান পেতে চলেছে শান্তিনিকেতন
এদিন ফের অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অমিত শাহ ও তার পুত্রকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর মতে, সুকন্যা গ্রেফতার হলে, যে জয় শাহর সম্পত্তি ৮০হাজার গুণ বেড়েছে তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন! এরপরেই মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, আপনারা কেন্দ্রের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন, আমরা বাংলার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব- দেখা যাবে কারা মানুষের স্বার্থে কাজ করেছে। তৃণমূল সাংসদের কথা উন্নয়নের নিরিখে ভোট করুন। এলাকার মানুষে যাঁকে প্রার্থী চান তাঁকে মনোনীত করতেই নিজের প্রার্থী নিজে বাছাই করতে গোপন ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা করছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বার্তা দেন, পঞ্চায়েতে এমন ব্যক্তিকে দরকার, যাঁরা মাথা উঁচু করে দিল্লির চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে লড়াইটা করবে। বশ্যতা স্বীকার করবে না।