সোমনাথ বিশ্বাস, সুরমা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন এবং বাংলার তৃণমূল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান দেখে সুরমার এক দরিদ্র পরিবার সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে যোগ দেয় তৃণমূলে। আর তার জেরেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসের শিকার হতে হয় পরিবারের সদস্যদের৷ বাদ পড়েনি বাড়ির ৮ বছরের শিশুও। সোমবার, সুরমায় দলীয় প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্রর হয়ে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত সেই শিশু তাপস মালাকারকে মঞ্চে পাশে বসান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Surma- Abhishek Banerjee)। নিজের গলার উত্তরীয় খুলে শিশুটিকে পরিয়ে দেন অভিষেক। ওই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন সুরমার আক্রান্ত মালাকার পরিবারের অন্য সদস্যরাও৷
ত্রিপুরার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গেই ২৩ জুন উপনির্বাচন সুরমাতে। কয়েকদিন আগেই সুরমায় রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বল্লভ, বর্শা, তরোয়াল-সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা মালাকার পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর জখম হন পরিবারের কর্তা ব্রজবল্লভ মালাকার। এছাড়াও তাঁর দুই ছেলে অবিনাশ ও দিবাকর এবং ৮ বছরের নাতি তাপসের উপরও নির্মম অত্যাচার করে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। হামলার খবর পেয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ান সুরমার তৃণমূল কর্মীরা। জখমদের ধলাই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুবল ভৌমিক–সহ নেতৃত্ব। এই ঘটনার প্রতিবাদে ধলাই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পাশাপাশি অভিষেকের নির্দেশে দিল্লিতে সাংসদরা জাতীয় নির্বাচন কমিশন দফতরে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা উপনির্বাচন: বিজেপিকে খামোশ করে দিন, বললেন শত্রুঘ্ন
সোমবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক (Surma- Abhishek Banerjee) বলেন, তৃণমূলকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে। এখানে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। অত্যাচার থেকে বাদ যাচ্ছে না তৃণমূল পরিবারের শিশুরাও। এর বিরুদ্ধে সবাইকে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন অভিষেক। বলেন, না হলে আগামী দিনে সব রাজ্যবাসীর ওপর এই অত্যাচার শুরু হবে। সুরমার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিপুজো শুরু করার আহ্বান জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।