সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে বসিরহাটে অনেক রাজনীতি হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, সিবিআই নয়। উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রেফতার হওয়ার ১৫ দিন পরেও তাঁদের কেন হেফাজতের চায়নি সিবিআই? সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে বুধবার বসিরহাটের সভা থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এদিন সভামঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বলেন, “যারা সন্দেশখালি নিয়ে এত কথা বলেছে, তাদের জানা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের যেকোনও স্তরে যে কোনও প্রতিনিধি যদি কারও সঙ্গে কোনও অপব্যবহার করে, কোনও রকম অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে পেলে রেয়াত করেনি তৃণমূল। অভিষেক সাফ জানান, শেখ শাজাহানকে ইডি-সিবিআই অ্যারেস্ট করেনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ অ্যারেস্ট করেছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফেও পদক্ষেপ করা হয়েছে। মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে। অথচ খবরে কাগজের টাকা মুড়ে যাঁদের টিভির পর্দায় নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদেরকে বিজেপি সাদরে দলে ডেকে নিয়েছে। এই বিষয়ে যে ইয়েদুরাপ্পাকে থেকে শুরু করে ব্রিজভূষণ- সবার উদাহরণ দেন অভিষেক। প্রশ্ন তোলেন, এইসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিজেপি কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের খবর ওড়ালেন খোদ মন্ত্রী
তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ১৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সিবিআই তাঁদের হেফাজতে চায়নি কেন? তার মানে বিজেপি নারী সুরক্ষার জন্য আন্দোলন করেনি, তারা করেছিল তৃণমূলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করার জন্য। এটা একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ অভিষেকের। যেদিন থেকে শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে তবে থেকে আর কোন সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীদল সন্দেশখালি যায়নি। তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, নারী নির্যাতনের অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাঁদের নিয়ে বিজেপির মাথাব্যথা নেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই তারা তদন্ত আন্দোলন করছে। তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যোগ করেন এদিন তাঁর মন্তব্যের পরই হয়তো উত্তম শিবুদের হেফাজতে চাইতে পারে সিবিআই।
সন্দেশখালিকাণ্ড যে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিজেপির সাজানো, বসিরহাটের সভা থেকে এ দিন তা স্পষ্ট করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।