প্রতিবেদন: সংসদে এবার আদিবাসীদের ইস্যুতে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী ও উপজাতিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লোকসভায় সোচ্চার হন অভিষেক। লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চান, আদিবাসী ও উপজাতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করেছে? আদিবাসীরা যাতে বঞ্চনার শিকার না হয়, অন্যরা যাতে তাঁদের বঞ্চিত করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পারে তার জন্য কেন্দ্র কি কোনও পরিকল্পনা করেছে? আদিবাসীরা সাধারণত জঙ্গল এলাকায় বসবাস করেন। বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বনভূমি উচ্ছেদের কাজ। শোষিত হচ্ছেন বনভূমির আদি বাসিন্দারা। সেই বনভূমি রক্ষা করে আদিবাসীদের নিজস্ব বাসস্থান ফিরিয়ে দিতে কেন্দ্র কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় প্রাণ সংশয় অভিষেকের, পাশে বসিয়ে দেওয়া হয় গুন্ডাদের: বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সোমবার আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আদিবাসীরা এদেশের এক স্বতন্ত্র সামাজিক বিভাগের মধ্যে পড়ে। আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাংবিধানিক এবং আইনগতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। তপসিলি উপজাতি ও সমাজের পিছিয়ে পড়া ও দুর্বল শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নের জন্য সাংবিধানিকভাবেই সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।উপজাতি ও আদিবাসীরা যাতে কোনওভাবেই বৈষম্যের শিকার না হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে এই সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে কোনভাবেই বঞ্চিত না হয় সে জন্য প্রতিটি রাজ্যকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংবিধান মেনে সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে। আদিবাসী-সহ সমাজের সব ধরনের দুর্বল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে শিক্ষাগত ক্ষেত্রে এবং আর্থিক ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়েন তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য একযোগে কাজ করে চলেছে। আদিবাসী ও অন্যান্য দুর্বল সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে এগিয়ে আসতে পারেন সেজন্য লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরে তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চম তফসিল মেনে আদিবাসী ও উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য গঠন করা হয়েছে ট্রাইবাল অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল। এই কাউন্সিলের পরামর্শ মত সরকার তাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করে থাকে।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় আক্রমণে মদত অমিত শাহের, দানবীয় শাসন চলছে, জল পায়নি আহতরা: মমতা
সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিল মেনে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের আদিবাসী ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় স্থায়ত্বশাসন দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগে পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে উপজাতি ও আদিবাসীরা যাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধনী আনা হয়েছে।