প্রতিবেদন : যারা জিতলে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুমকি দেয় সেই জনবিরোধী বিজেপির বাংলায় কোনও জায়গা নেই। ওদের দাঁত-নখ বের করা আসল চেহারাটা সামনে চলে এসেছে। এদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে। ২০১৯-এর বদলা নিতে হবে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের দিন। মঙ্গলবার কোচবিহারে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে করা জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন মঞ্চে বক্তৃতার সময় কোচবিহারের বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুমকি দেওয়ার ভাষণ নিজের মোবাইল ফোনে চালিয়ে শোনান উপস্থিত জনতাকে। এরপর বলেন, বিজেপি প্রার্থী ভোট চাইতে এলে এই ভিডিওটা তাকে দেখাবেন। ওদের নেত্রী তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুমকি দিয়েছে। বিজেপির তরফে তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? না হয়নি। এরপরে তথ্য তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ১১১২ কোটি টাকা খরচ করে ৬০ লক্ষ মায়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই টাকা বন্ধ হলে গোটাটাই দিল্লি চলে যাবে। আর আপনাদের হাতে থাকবে শূন্য। ওরা বাংলার টাকা বন্ধ করে কুড়ি হাজার কোটি টাকা দিয়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেন। এদিন ফের তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা দেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর আবাসের বাড়ির বাড়ির টাকার প্রথম কিস্তি সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার হাত ধরে আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব। কারণ এখানে বিজেপি জিতবে না।
আরও পড়ুন- অভিষেকের রোড-শোয়ে জনপ্লাবন
এদিন প্রধানমন্ত্রীর মাছ খাওয়ার বক্তব্যকে তুলে ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) বলেন, যারা মাছ খায় তারা হিন্দুবিরোধী দেশবিরোধী একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরা বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি কিছুই জানে না। আমি তো মাছ খাই আর প্রধানমন্ত্রী একথা বলার পর দুবেলা খাই। আপনারা তো মাছ খান। কিন্তু এরা আপনাদের দেশদ্রোহী বলছে যারা মাঝখান তাদের হিন্দুবিরোধী বলছে। এই বিজেপি কি আপনারা চান? প্রশ্ন করেন অভিষেক। জনগণের মধ্যে দিয়ে উত্তর আসে না এই বিজেপিকে চাই না।
বাংলাকে এরা গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ মনে করে। আমি বলব বিজেপি নেতারা বাড়িতে টাকা দিতে এলে নিয়ে নেবেন। কারণ এটা আপনার টাকা। ৫০০ দিলে হাজার চাইবেন। ২০০০ দিলে ৫ হাজার চাইবেন। আর ভোটটা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কারণ গত পাঁচ বছর বিজেপি আপনাদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। এবার আপনার পালা। ওদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিন। বাংলা কে এরা মঞ্চনা করছে গত তিন বছর ধরে। গত ১৪ মার্চ জলপাইগুড়িতে এসে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম আবাসের কত টাকা দিয়েছে তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। ৮০০ ঘণ্টারও বেশি হয়ে গেছে শেষপত্র প্রকাশ করার হিম্মত হয়নি। এরা বাংলা টাকা বন্ধ করে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত করেছে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গত ১০ বছরে দেশকে কোথায় টেনে নামিয়েছেন তার উদাহরণ তুলে ধরেন দীপ্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। তেল, রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, মুগ ডাল, চা-পাতা ওষুধ-সহ সবকিছুর দাম বেড়েছে একলা সে বহুগুণ। আচ্ছে দিনের মিথ্যে প্রতিশ্রুতিীয় ভাঁওতা দিয়ে দেশকে বাংলাকে ঠকিয়েছে বিজেপি। এখনো পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বাংলার। এই বিজেপিকে একটি ভোট দেবেন না, সাফ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।