বোলপুর-বীরভূমে জয়ের ব্যবধান বাড়বে, নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও, বললেন অভিষেক

Must read

সকলে একজোট হয়ে লড়ছে, তৃণমূলে নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। বোলপুর-বীরভূম দুটি আসনেই জয়ের ব্যবধান বাড়বে। বুধবার, তারাপীঠে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

উত্তর থেকে এদিন বেলা একটা সাত নাগাদ তারাপীঠ সংলগ্ন চিলের মাঠে হ্যাালিপ্যানডে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে সড়ক পথে বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে পৌঁছান তিনি। হেলিপ্যাাডে তাঁকে স্বাগত জানান, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোাপাধ্যায়, অভিজিৎ সিনহা, বিকাশ রায় চৌধুরী-সহ অন্যা ন্যকরা তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপর সেই ভবনে কিছুক্ষণ ফাইভ ম্যান কমিটি-সহ কাজল শেখ আলোচনা সারেন। সেটা শেষ হতেই কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন রণকৌশল বৈঠকে বসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুই ঘণ্টার বেশি বৈঠক চলে। প্রায় ১৭৩ জন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বীরভূম ও বোলপুরের ২ তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় ও অসিত মাল, কাজল শেখ, কয়েকজন অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি, ৬টি পুরসভার চেয়ারম্যান, কিছু কর্মাধ্যক্ষ, ২ লোকসভার নির্বাচন কমিটির সদস্য।

বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখ হয়ে অভিষেক জানান, তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। এবার বীরভূমের ২টি লোকসভা আসনে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে। ভোটে বিজেপিকে বাংলার মানুষ মিথ্যাচারের জবাব দেবে বলে জানান অভিষেক।

আরও পড়ুন- কোচবিহার-জলপাইগুড়িতে সভা তৃণমূল সুপ্রিমোর

প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে আসার বিষয় নিয়ে ফের চ্যালেঞ্জ ছোড়েন অভিষেক। বলেন, একহাতে শ্বেতপত্র ও অন্য হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বলুন বাংলাকে ২০২১-এর পর থেকে কত টাকা দিয়েছেন আবাস ও ১০০দিনের কাজে। তিনি জানান, “আমি আশা করব যে তিনি আসবেন এবং শ্বেতপত্র দেবেন। এখানে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আবাস ও মনরেগার অধীনে বাংলাকে দেওয়া শ্বেতপত্র দেখাবেন।“

এদিন ফের অভিষেক জানান, মানুষ যদি পাকা বাড়িতে বাস করত, তাহলে জলপাইগুড়িতে প্রবল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হত না। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র আবাসের টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে। ময়নাগুড়িতে একটি দুই বছরের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হত না, যদি কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য দিত। দায় সম্পূর্ণ বিজেপির!

এরপরেই অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, বিজেপিতে গেলে অনুব্রত মণ্ডল ক্লিনচিট পেয়ে যেতেন। তৃণমূল আছেন বলেই তিহারে রয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী- যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে, তাঁরা বিজেপিতে গিয়ে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে গিয়েছেন। এই বিজেপিকে বাংলার মানুষ ভোটে জাবাব দেবে বলে বার্তা অভিষেকের।

Latest article