মনরেগা আর আবাসে বাংলাকে কত টাকা দিয়েছে মোদি সরকার? মুখোমুখি বসে সেই হিসাব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার সকালের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করে গেরুয়া শিবির। পাল্টা তাদের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির টাউন ক্লাবের মাঠে নির্বাচনী জনসভায় আসতে বলেন অভিষেক। কিন্তু সেই সাহস দেখাতে পারল না বিজেপি। ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের জনগর্জন সভায় নথি হাতে দেখা গেল না কোনও বিজেপির নেতা, কার্যকর্তা, কর্মীকে। মোক্ষম খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) জানালেন “হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছি”।
এরপরে এদিনের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টের খতিয়ান দেন অভিষেক। বলেন, সকালে যে পোস্ট করেন, তার জবাবে বিজেপি ১২টা ১৭ মিনিটে বলে, কোনও নেতা নয়, যুব মোর্চার নেতাদের পাঠাব। সেই পোস্টে অভিষেককে ট্যাগ করা না থাকলেও, তিনি সেটা রিপোস্ট করে ১২টা ২৫ মিনিটে জানান, ময়নাগুড়ি টাউনক্লাব মাঠে সভা আছে। মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছোড়েন, “কেউ এলে আসুন। কেউ এসেছেন, কোনও কার্যকর্তা?”
আরও পড়ুন: নিম্নমানের ছবি, ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করল কেন্দ্র
মঞ্চ থেকে পদ্মশিবিরকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। দুটো পোডিয়াম রেখেছি তর্ক হবে বলে। বলেছিলাম শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কেউ কি এসেছেন?“ এর পর মঞ্চ থেকে সাংবাদিকদের কাছে অভিষেক জানতে চান, বিজেপি তরফে কেউ উপস্থিত আছেন কি না। দেখা যায় কেউ আসেননি। তা দেখে অভিষেক সহাস্য জবাব, “হাটে হাঁড়ি ভেঙেছি।“
এদিন সকালে মনরেগা ও আবাস যোজনায় কেন্দ্র এক পয়সাও বরাদ্দ করেনি বলে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি সাফ জানান, “মিথ্যাচার করার জন্যই জনগণের টাকা নয়ছয় করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার”। এরপরই বিজেপিকে মুখোমুখি বসে তর্কের কথা জানান। আর অভিষেকের চ্যালেঞ্জের তা গ্রহণ করে গেরুয়া শিবিরের তরফে বিতর্কের জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর কথা জানানো হয়। এরপর অভিষেক সময়, তারিখ ও স্থানের উল্লেখ করে তাঁদের মুখোমুখি হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তবে অভিষেকের সামনে বঙ্গ বিজেপির কোনও প্রতিনিধি আদৌ কী আসবেন নাকি পুরোটাই কথার কথা? তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। আর শেষ পর্যন্ত দেখা গেল কেউই উপস্থিত হলেন না। অভিষেকের কথায়, লেজ গুটিয়ে পালাল!