সুকান্তকে ফোন করে বঞ্চিতদের টাকা চাইতে বললেন অভিষেক, ধুয়ে দিলেন সাধ্বীকেও

Must read

দিল্লির ধর্নার ৯৬ ঘণ্টার আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাংলায় ছুটে আসা তৃণমূলের জয়। ধর্নার তৃতীয়দিনে মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে নিশানা করে বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবির পাল্টা মোক্ষম দাওয়াইও দিয়েছেন। তিনি সুকান্তকে ফোন করে বাংলার বকেয়া চাইতে বললেন। ফাঁস করলেন সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বরও।

দিল্লিতে অভিষেক-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর পুলিশি জুলুমের ৯৬ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় এসে সাফাই দিতে হল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। কিন্তু রাজ্যে এসে উল্টে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এরপরেই শনিবার, ধর্নামঞ্চ থেকে সাধ্বীর অভিযোগকে নস্যাৎ করে প্রবল আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, “যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁদের অধীনে থাকা সিআইএসএফ আমাদের দিল্লিতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল, আজ তাঁকে বাংলায় আসতে হয়েছে। এটা তৃণমূলের জয়। বোঝা যাচ্ছে জমিদারিরাজ শেষ হচ্ছে। বাংলা কারও কাছে মাথানত করে না, প্রতিমন্ত্রী কলকাতায় এসে প্রমাণ করলেন, বহিরাগতরা বাংলায় এসে মাথানত করে। এটাই বাংলার ক্ষমতা।“

এরপরেই তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “বিজেপির পার্টি অফিসে বৈঠক করেছেন, ওখানে আমাদের প্রতিনিধিদের যেতে হবে? তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কিভাবে বিজেপির পার্টি অফিসে যাবে? সরকারি জায়গা ঠিক করুন, আমাদের কোনও ইগো নেই, যাব। এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।“ তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, রাজভবনে বসুন, আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়ে কথা বলবে।“

আরও পড়ুন-সিকিমকে অর্থসাহায্য, বঞ্চিত কালিম্পং: বৈষম্য কেন প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
এরপরেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেন অভিষেক। মঞ্চ থেকেই মোবাইলে শুভেন্দু ও সুকান্তর বক্তব্য শোনান তিনি। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বলছেন টাকা বন্ধ করব। আর সুকান্ত বলছেন, ২ কোটি টাকা পরে আছে, উনি একটা ফোন করলেই টাকা চলে আসবে।“ এরপরেই মোক্ষম দাওয়াই দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, “২০ লক্ষ মানুষ সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করুন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নম্বর দেবে। বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি রেখে ফোন করবেন। কোনও কু-কথা নয়, ভদ্রভাবে ফোন করবেন। আপনার ফোনে এতো ম্যাজিক, তো আমাদের কষ্ট করে ধরনা দিতে হচ্ছে কেন? আপনি দয়া করে প্রধানমন্ত্রী ও গিরিরাজ সিংকে ফোন করে আমাদের টাকা এনে দিন।“
এরপরেই সুকান্ত মজুমদারের দুটি নম্বর দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হল ৮৭৬৮৩৩৩৯৮৩, অপরটি হল ৯৪৩৪৯৬৪১২৫। অভিষেক বলেন, এই নম্বরে ফোন করে কল রেকর্ড করুন। তারপর সেই কথোপকথন স্যোশাল মিডিয়া করুন।

Latest article