কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক

অনেকেই এসেছেন সপরিবারে, সবান্ধবে। জমে উঠেছে গল্প-গুজবের আড্ডাও। অভিষেক আসতেই সম্মিলিত কন্ঠে স্লোগানের সমুদ্রগর্জন।

Must read

প্রতিবেদন : প্রতীক্ষার আর মাত্র একটি দিন। জনতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে মহানগরীর বুকে। উপলক্ষ্য ২১ জুলাই, তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। শহিদ স্মরণে আপন মরণে রক্তঋণ শোধ করার অঙ্গীকারের দিন। কোভিড-ত্রাসে গত দু’বছর এই পবিত্র দিনটিতে সরাসরি নেত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর ভাষণ শোনার সুযোগ মেলেনি লাখো জনতার। আয়োজন করা হয়েছিল ভার্চুয়াল সভার। তাই রেকর্ড জনসমাগমের স্পষ্ট বার্তা নিয়ে উদ্দীপনার ঢেউ এবারে কলকাতায় আছড়ে পড়তে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। মঙ্গলবার থেকেই দূ্রদূরান্তের মানুষ এসে পৌঁছে যাচ্ছেন শহরে।

আরও পড়ুন-অভিষেককে দেখে আপ্লুত কর্মী

জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ পাওয়ার আশায়। আর তাঁদের থাকা-খাওয়ার, সভাস্থলে যাতায়াতের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সেদিকে সদা সজাগ দৃষ্টি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ধর্মতলায় সভামঞ্চের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের অস্থায়ী শিবির –প্রতিটি বিষয়েই তাঁর বিশেষ নজর। মঙ্গলবার অভিষেক নিজে ঘুরে দেখলেন আয়োজনের খুঁটিনাটি।

আরও পড়ুন-উদ্ধার হল মাইন, গ্রেনেড

বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন ধর্মতলার মূল মঞ্চে। সভাস্থলের প্রস্তুতি তখন প্রায় শেষপর্বে। মঞ্চে উঠে এক লহমায় দেখে নিলেন চারিদিকে। প্রস্তুতির তদারকি করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দিলেন প্রয়োজনীয় নির্দেশও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হাসিমুখেই জানিয়ে দিলেন প্রস্তুতির কাজ সন্তোষজনক। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে যখন পৌঁছলেন অভিষেক তখন বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পৌঁছে গিয়েছেন উৎসাহী কর্মী-সমর্থকরা। স্যানিটাইজেশনের সঙ্গে সঙ্গেই হয়েছে স্নান-খাওয়ার ব্যবস্থা। মেনুতে ভাত-ডাল-আলু সোয়াবিনের তরকারি, ডিম।

আরও পড়ুন-আতিথেয়তা শিবিরে শিবিরে

অনেকেই এসেছেন সপরিবারে, সবান্ধবে। জমে উঠেছে গল্প-গুজবের আড্ডাও। অভিষেক আসতেই সম্মিলিত কন্ঠে স্লোগানের সমুদ্রগর্জন। সঙ্গে ছিলেন তাপস রায়, সঞ্জয় বক্সি, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কুশল বিনিময় করলেন হাসিমুখে। জানতে চাইলেন কারও কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা। স্বেচ্ছাসেবকদের দিলেন নির্দেশ। কিছু পরামর্শও। কলকাতার অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেলেন কসবা কানেক্টরের গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামেও। সেখানেও একই ছবি। তাঁকে ঘিরে একই উদ্দীপনা। অস্থায়ী শিবিরের দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীদের বললেন, আয়োজন যাতে নিখুঁত হয়। প্রতিটি শিবিরেই কোভিড-সুরক্ষার প্রশ্নে বিশেষ যত্নশীল হতে নির্দেশ দিলেন স্বেচ্ছাসেবকদের।

Latest article