জনসংযোগ যাত্রার(Janasanghyog Yatra) আজ ৩৪তম দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেখানেই আজ তিনি ‘গদ্দার’ অধিকারী পরিবারকে নিশানা করলেন। সৌজন্য বজায় রেখেই শিশির অধিকারীকে(Shishir Adhikari) তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার কথাও এদিন বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-‘গতকালই আমি নিশ্চিত করেছি আমি যাব’ পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠক প্রসঙ্গে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মঙ্গলবার পটাশপুরে দাঁড়িয়ে অধিকারী পরিবারকে একহাত নিয়ে শুভেন্দুর নাম না করে অভিষেক বলেন, “উনি(শুভেন্দু অধিকারী) শুধু হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আমি শিশিরবাবুর কাছে শুধু জানতে চাইবো আপনি সাংবাদিক বৈঠক করে মানুষকে বলুন আপনি তৃণমূলে না বিজেপিতে? বাকিটা জনতার উপর ছেড়ে দিন।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “উনি(শুভেন্দু) বলেন, রিট পিটিশন ফাইল করে সদস্যপথ খারিজ করব। তাহলে বাবা ও ভাইয়ের রিট পিটিশন হচ্ছে না কেন? সদস্য পদ খারিজ হচ্ছে না কেন? যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে জনতার দরবারে লড়াই হোক।” এরপর শিশির অধিকারীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শিশির বাবুকে অনুরোধ, আপনি জানান আপনি তৃণমূল না বিজেপিতে? আপনার এক ছেলে(দিব্যেন্দু অধিকারী) বলছে আমি তো তৃণমূল ছাড়িনি। আর আপনি বিজেপির অমিত শাহের সভামঞ্চে বক্তব্য দিয়ে এলেন। আপনি ভেবেছিলেন সরকার হয়ে গেছে। আমার এক ছেলে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছে। তারপর ২ মে যখন ফল বের হল সব ‘মায়ের ভোগে’ চলে গেল। সব ভোকাট্টা। তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতা এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ বারও আসবে।”
একইসঙ্গে সরাসরি শুভেন্দুকে তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওর শরীরী ভাষায় বেইমানি, আর চোখে মুখে ভয়। সারাক্ষণ মোদিজি, অমিতজি, যোগীজি করে যাচ্ছে বাংলার মানুষের টাকা আটকাতে। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করছে। আসলে ও যোগীজি, অমিতজি করে যাচ্ছে ইডি, সিবিআই-এর ভয়ে। যেদিন ‘ইডিজি’, ‘সিবিআইজি’ বন্ধ হবে সেদিনই ইডি-সিবিআই ওর বাড়িতে ঢুকে যাবে।” এর পাশাপাশি সম্প্রতি সোনারপুরকে নেতাজির জন্মস্থান বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মঙ্গলবার অভিষেক বলেন, “শুভেন্দুর মাথা ঠিক নাই ও পাগল হয়ে গেছে। নেতাজির জন্মভূমি ওড়িশার কটকে। ও বলে দিচ্ছে সোনারপুর।” আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুভেন্দুর ‘সব সাফ হয়ে যাবে’ মন্তব্যের পাল্টা দিতেও ছাড়েননি অভিষেক। তিনি বলেন, “এক ছটাকো জমি ছাড়বো না। প্রয়োজনে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থাকবো। যে কটা ছাইপাশ আবর্জনা রয়েছে সবাইকে গঙ্গায় বিদায় দিতে হবে।”