প্রতিবেদন : সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার দিল্লি পৌঁছেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজধানীতে পা রেখেই অভিষেক পুরনো সংসদ ভবনে দলের সাংসদের নিয়ে এই অধিবেশনের রণকৌশল ঠিক করেন। সংসদের ভিতরে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না শাসক দল বিজেপিকে। হবে ইন্ডিয়ার ফ্লোর কো-অর্ডিনেশনও।
লোকসভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী বিশেষ অধিবেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিযুক্তি, চাকরির শর্তাবলি এবং অফিসের মেয়াদ) বিল ২০২৩ পেশ হতে চলেছে। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও দিন নির্ধারণ করা হয়নি, তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচদিনই সংসদে উপস্থিত থাকবেন এবং সিইসি বিল পেশ করা হলে তা নিয়ে বলবেনও।
আরও পড়ুন- সংসদে বাংলার নেতাদের অবদান উল্লেখ সুদীপের
বিশেষ অধিবেশনে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখা থেকে বঞ্চনার শিকার হতে হল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তৃণমূলের জন্যে মোট ২১ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হলেও তার মধ্যে প্রথম ৪ মিনিট বক্তব্য রাখেন নাদিমুল হক। ফলে বাকি ১৮ মিনিট বরাদ্দ করা হয় রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের জন্য। যদিও তিনি বলতে শুরু করার আগেই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় তাঁকে জানিয়ে দেন, তাঁর জন্য বরাদ্দ সময় মাত্র ১০ মিনিট।
চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানালে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বচসা বেধে যায়। ডেরেক বলেন, ‘আমার সংসদ ফিরিয়ে দাও। যে সংসদের অবমাননা, অমর্যাদা করা হবে না, প্রধানমন্ত্রী লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এসে জবাব দেবেন। গত ৭ বছরে তিনি একটি প্রশ্নেরও জবাব দেননি। আমার সংসদ ফিরিয়ে দাও, যেখানে জাতীয় ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা হবে, আমাদের সঙ্গে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেই সংসদ ফিরিয়ে দাও যেখানে এমনটা হবে না, যে ৫ বছরে কোনও ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার ইন্ডিয়া, ভারত ফিরিয়ে দাও, যেখানে একটি রাজ্যে অশান্তির আগুন জ্বলছে অথচ এখনও নীরব প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমরা সবাই সেজন্য দুঃখিত।’ এ-ছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, মহিলা ক্রীড়াবিদদের যৌনহেনস্থা নিয়েও সরব হন তিনি। সময় পেরিয়ে যেতেই তাঁকে থামিয়ে দেন চেয়ারম্যান এবং দিনের মতো সভা স্থগিত হয়ে যায়। ফলে অন্যান্য দলের সাংসদেরাও বলার সুযোগ পাননি।