সোমনাথ বিশ্বাস, সুরমা: আগামী ২৩ তারিখ ত্রিপুরায় (Tripura) ৪ কেন্দ্রে হয় ভোল্টেজ উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়েই আগামী বছর ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিপুজো করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সোমবার, ত্রিপুরার সুরমায় নির্বাচনী জনসভায় এই কথাই একপ্রকার স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, ‘২৩ তারিখ ভোট দিয়ে আগামী ২০২৩ ত্রিপুরায় পরিবর্তন নিশ্চিত করুন’।
আরও পড়ুন-অগ্নিবীররা দেশের সেবা করে দারোয়ান হবে? ধিক্কার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ত্রিপুরার বিজেপি (BJP) সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক। বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের নামে ত্রিপুরায় ডবল চুরি করছে বিজেপি। ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে- দিল্লিতেও চুরি আর ত্রিপুরাতেও চুরি। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য-শিক্ষার অবস্থা বেহাল, গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে দিল্লি (Delhi) থেকে রিমোট কন্ট্রোলে রাজ্য চালানো হয়। ত্রিপুরা কেন দিল্লি চালিত করবে? ভূমিপুত্ররাই ত্রিপুরা চালাবে।
আরও পড়ুন-জুলাইয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের উদ্বোধন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিগত বাম এবং কংগ্রেস জমানাকেও এক তিরে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মতে, ত্রিপুরায় কংগ্রেস-সিপিএম (Congress-BJP) ক্ষমতায় ছিল। তারা কোনও কাজ করেনি। সারা দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র ব্যক্তি যিনি চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন। সেই কারণে বিজেপি বিরোধী যাঁরা, তাঁরা সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। ওদের ভোট দিলে ভোট নষ্ট হবে। অভিষেকের অভিযোগ, বিজেপি বিরোধিতা করলেই ইডি-সিবিআই (ED-CBI) দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তবে, তৃণমূলকে ধমকে-চমকে লাভ হবে না বলে ফের জানান অভিষেক। “বিজেপি হল ভাইরাস, আর ভ্যাকসিনের নাম হল তৃণমূল কংগ্রেস”।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় উন্নয়নের জোয়ার আনতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের আবেদন সুবল-কুণালদের
অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প আছে ত্রিপুরা কেন তার সুবিধা পাবে না? বাংলায় কন্যাশ্রী-যুবশ্রী-স্বাস্থ্যসাথী-স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুযোগ পান রাজ্যবাসী। ত্রিপুরায় তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সেই সব সুবিধা সে রাজ্যের মানুষ পাবে। অভিষেক বলেন, তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা পালন করে। আর বিজেপি জুমলা করে। ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিল মোদি সরকার। অথচ এখন পেট্রোল-ডিজেল-গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে সংকটে ফেলেছে। অভিষেকের দাবি, বাংলায় গো-হারা হেরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কিছুটা কমাতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। ত্রিপুরাতে হারলে দাম আরও কমাবে।