আগরতলা : ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৌতূহলের পারদ তুঙ্গে উঠেছে। অভিষেক আসছেন। তুমুল উৎসাহ তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে এবং রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে, বিজেপি সরকারের দলদাস পুলিশ বারবার অভিষেকের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবারই ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সকালে মেনশন ও দুপুরে শুনানির পর হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছেন। আদালতে সরকারপক্ষ এদিন উত্তর দিতে পারেনি। হাইকোর্ট বলেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজ্য সরকারকে অবস্থান জানাতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব সবিস্তারে কোর্টকে বলেছেন কীভাবে সরকার গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
এরই মধ্যে আরেক নাটক শুরু করেছে বিজেপি। যখন ঠিক ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা হবে, তখন সেদিন রেল অবরোধ ডেকেছিল বিজেপির সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস দিন বদল করায় তারা সঙ্গে সঙ্গে রেল ধর্মঘট তুলে নেয়। এখন আবার ২২ তারিখ রেল ধর্মঘটের পোস্টার দিয়েছে। অর্থাৎ পদযাত্রায় যাতে মানুষ আসতে না পারেন, মরিয়া হয়ে তার চেষ্টা। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপির এইসব জঘন্য ছলচাতুরি দেখে হাসছেন। সবাই বুঝছেন বিজেপি ভয় পেয়েছে। এদিকে সোমবার আগরতলা পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মিছিলের প্রস্তুতিতে বৈঠক করেন তিনি, ডাঃ শান্তনু সেন, সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং, মামুন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন :বিজেপি এখন একা : ফিরহাদ
এদিকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। তৃণমূলের নেতানেত্রীদের ওপর আক্রমণ ও অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের খবরে তাঁরা খোয়াই থানায় ছুটে যান। ধৃতদের জামিন দেয় আদালত। কিন্তু পরে অভিষেকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে সরকারি কাজে বাধার মামলা করে দলদাস পুলিশ।
হাইকোর্টে যায় তৃণমূল। আদালত বলে দেয় পুলিশ এখন চার্জশিট দিতে পারবে না। কারণ মামলা চলছে। এরপরেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্টদের হয়রানির চেষ্টায় নেমে পড়েছে পুলিশ। দশ দিনের মধ্যে থানায় গিয়ে জেরার মুখোমুখি হওয়ার নোটিশ গিয়েছে কুণাল ঘোষের কাছে। সোমবার আগরতলা এসেই কুণাল জানিয়েছিলেন, দশ দিন দূরের কথা, চার দিনের মাথায় খোয়াই থানায় যাব। এসব অন্যায় চাপ দিয়ে ওরা কিছু করতে পারবে না। আর এরপরই খোয়াই থানার তদন্তকারী পুলিশ কুণালকে জানায়, তাঁকে খোয়াই আসতে হবে না, বরং তাঁরাই আগরতলায় যাবেন কথা বলতে। ঠিক হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আগরতলার এনসিসি থানায় কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, আজব কথা। আমি তো ঠিক করেছিলাম খোয়াই যাব। সবুজে ঘেরা, পাহাড়ি এলাকা। চমৎকার জায়গা। যাই হোক, ওরা যখন নিজেরাই বলছেন আগরতলায় এসে কথা বলবেন তখন নিশ্চয়ই আমি দুপুর ১২টায় আগরতলার এনসিসি থানায় যাব। এদিকে সোমবার সারাদিনই ত্রিপুরার নানা এলাকায় বুধবারের পদযাত্রার প্রস্তুতি চলে।