বৃহস্পতিবার রাত্রি প্রায় ১০.১৫ নাগাদ দিঘা নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের (National highway) সাইকেলে করে সেই যুবক বাড়ি ফিরছিলেন। চণ্ডীপুরের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এক যুবক। মৃত যুবকের নাম সেক ইসরাফিল (৩৩)। ধাক্কায় প্রাণ গিয়েছে ওই যুবকের। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর দ্রুতগতির কনভয় যুবককে হত্যা, সরব কুণাল ঘোষ
এই মৃত্যুর ঘটনায় এবার মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhisekh Banerjee)। দলের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হল। পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বকে মৃতের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক।
পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় যুবক মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক সোহম চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেত্রী দোলা সেনরা। এদিন সকালে তমলুক জেলা হাসপাতালে মৃত ইসরাফিলের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর তাঁর দেহ চণ্ডীপুর তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইসরাফিলের বৈভবপুরের বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে শোক-সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান মন্ত্রী অখিল গিরি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এরপর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করেন সোহম চট্টোপাধ্যায়, দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদা, দেবাংশু ভট্টাচার্য , সুদীপ রাহা, সোহম চক্রবর্তী, সায়ন্তিকা ব্যানার্জী সহ সকল নেতৃত্ব। পাশাপাশি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ নোটিশ পাঠাবে শিশিরপুত্র সহ কনভয়ে থাকা সকলকে। নোটিশ পাঠানো হবে যুবক মৃত্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে। জানা গিয়েছে, যে গাড়ির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা, সেই গাড়িটি ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেটের।
আরও পড়ুন-‘এটা দিল্লির সাবজেক্ট, আমাদের নয়’, ফরাক্কা ব্যারেজ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা-নন্দকুমারের মাঝে চণ্ডীপুর দিয়ে যাওয়ার সময় সাইকেল আরোহী সেখ ইসরাফিলকে ধাক্কা মারে শুভেন্দুর কনভয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরেই চণ্ডীপুরের জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। দাবি ওঠে এবার শাস্তি চাই গদ্দারের। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দায় তাকেই নিতে হবে। এর আগে আসানসোলে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ঠ হয়ে মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরেও অভিযুক্ত গদ্দারবাহিনী ন্যুনতম মানবিক সৌজন্য দেখিয়ে ঘটনাস্থলে যায়নি। এবারও একই ঘটনা। দুর্ঘটনার পর আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে চম্পট দেয় শুভেন্দুর কনভয়। অভিযুক্তকে চরম শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সহ এলাকাবাসীরা।