প্রতিবেদন : কোচ লক্ষ্ণীরতন শুক্লা বলেছিলেন, সকালে রিপোর্টিং টাইমের ৩০-৪০ মিনিট আগে এসে শর্ট বলে প্র্যাকটিস করবি। দিনের শেষে অভিষেক পোড়েলের (Abishek Porel) মনে হচ্ছে কোচের এই পরামর্শ খুব কাজে দিয়েছে। তিনি বললেন, কোচ ও অধিনায়ক আজ পর্যন্ত তাঁকে যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য।
অভিষেক এসব বললেন, কারণ তাঁর সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলা দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩৮১-৮ তুলেছে। অভিষেক ২১৯ বল খেলে ১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৪ রান করেছেন। আগের দিনের নট আউট থাকা অনুষ্টুপ মজুমদার করেছেন ৭১ রান। মন্দ আলোয় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত করণ লাল ( ২৪ ব্যাটিং) ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল (৩৩ ব্যাটিং) মিলে অপরাজিত নবম উইকেটে ৫০ রান যোগ করেছেন।
আরও পড়ুন- ভারতীয়রা খুব ভদ্র : জকো
আলো কম থাকায় শনিবার সকালের সেশনে কোনও খেলা হয়নি। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হলে অভিষেক (Abishek Porel) ও অনুষ্টুপ সাবধানে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু এই জুটিতে সকালে ৪১ রান ওঠার পর অনুষ্টুপ সৌরভ মজুমদারের বলে আশুতোষের হাতে ধরা পড়েন। সবমিলিয়ে এই জুটিতে উঠেছে ১২০ রান। তবে সাত নম্বরে এসে শুভম চট্টোপাধ্যায় তাঁর অভিষেক ইনিংসে ৬১ বলে ২১ রান করে নজর কেড়েছেন।
শুভম আউট হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গীর অভাবে লম্বা শট নিতে শুরু করেন অভিষেক। আর এটা করতে গিয়ে তিনি বাসুদেব বারেথের বলে বোল্ড হয়ে যান। ছত্তিশগড়ের বোলারদের মধ্যে সৌরভ, বাসুদেব ও শশাঙ্ক সিং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষেও উইকেট থেকে বোলারদের জন্য বিশেষ কোনও সাহায্য ছিল না। ফলে এমন পাটা উইকেটে মুকেশ, আকাশ দীপের অভাব অনুভূত হবে।
অভিষেক এই সেঞ্চুরি বাবা-মাকেই উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, কেরিয়ারের শুরুতে এঁরা অনেক সাহায্য করেছেন। আরও বলেন, এই সেঞ্চুরিকে খুব উঁচুতেই রাখব। কারণ, লাল বলে সেঞ্চুরি আমার কাছে খুব স্পেশাল। আর আমার স্বপ্ন হল দেশের হয়ে টেস্ট খেলা।