প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর ধসের কবলে নিউগিনি দ্বীপপুঞ্জ। আশঙ্কা, জীবন্ত সমাধি হয়েছে পাপুয়া নিউগিনির ৩০০-রও বেশি মানুষের। মাটির নিচে চাপা পড়েছে প্রায় ১১০০ ঘরবাড়ি। উদ্ধার অপারেশনে নেমেছে সেনা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। এঙ্গা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে। তবে মূল ভূখণ্ডে খবর এসে পৌঁছেছে শনিবার। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুলিতাকা প্রদেশের অন্তন্ত ৬টি গ্রাম এই ভূমিধসের ফলে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলা থেকেই চলবে দিল্লি, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বেশিরভাগ রাস্তাই ধসের ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে উদ্ধারের কাজে। হেলিকপ্টার ছাড়া পৌঁছনোই সম্ভব হচ্ছে না দুর্গত এলাকায়। রাস্তাজুড়ে শুধুই বড়বড় পাথর আর উপড়ে পড়া গাছ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ ছবি। মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে খুঁজে চলেছেন প্রিয়জনদের। সোনার খনির শহর হিসেবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ জায়গা পোরগেরা। বাণিজ্যিক কারণে সবসময়ই ব্যস্ততা তুঙ্গে। কিন্তু ধসের ফলে আটকে গিয়েছে সেই রাস্তা। যানবাহন তো দূরের কথা, যাওয়া যাচ্ছে না পায়ে হেঁটেও। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পূর্ত-সড়ক দফতরকে সাহায্য করতে নেমেছে সেনাবাহিনীও। লক্ষণীয়, নিউগিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। মালয় দ্বীপপুঞ্জের পূর্বের এই দ্বীপ বিশাল অস্ট্রেলিয়া নামেও পরিচিত। এর একটা বড় অংশই স্বাধীন পাপুয়া নিউগিনির মূল স্থলভূমি।