সুমন তালুকদার, বনগাঁ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) লেখা ‘মা গো তুমি সর্বজনীন’ গানটি গেয়ে চলেছে ৮ বছরের মেয়ে দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Debankita Banerjee)। তার গান শুনে মোহিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পিসিমণি বলে সম্বোধন করা ছোট্ট দেবাঙ্কিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কবিতা অনর্গল আবৃত্তি করে চলেছে। ছোট্ট শিল্পীর (Debankita Banerjee) গলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা গান, কবিতা শুনে আপ্লুত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রকল্প কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সমব্যাথী-সহ একাধিক প্রকল্প ছাড়াও গোটা রাজ্য জুড়ে সামগ্রিক উন্নয়ন ও তার লেখা কবিতা, গান নিয়ে মানুষের দরবারে গোবরডাঙার ছোট্ট দেবাঙ্কিতা। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া ছোট্ট দেবাঙ্কিতা সংগীতজগতের সঙ্গে যুক্ত খুব ছোট বয়সেই। এই ছোট্ট শিল্পী অর্কেস্ট্রাতে যখন অনুষ্ঠানে করে সেই অনুষ্ঠানের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের লেখা গান দিয়ে সে অনুষ্ঠান শুরু করে। আমফান কিংবা কোভিড পরিস্থিতিকে মানুষকে সচেতন করার জন্য ভয়কে জয় করে নিজের বানানো হিন্দি গানের প্যারোডি গেয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েছে। করোনা কালে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গান গেয়ে অর্থ উপার্জন করেছিল। ছোট্ট দেবাঙ্কিতার কথায়, টিভিতে পিসিমণিকে দেখি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করছে। আবার গান, কবিতা লিখছে। সবাই তাঁকে ভাল বলছে, তাঁর প্রশংসা করছে। আমার খুব ভাল লাগে। আমারও ইচ্ছা পিসিমণির মতো মানুষের জন্য কাজ করব। তাই স্কুলের ব্যাগে, আমার শোওয়ার ঘরে পিসিমণির ছবি রেখে দিয়েছি। আমি তাঁর লেখা পুজোর গান ‘মা গো তুমি সর্বজনীন’ শুনেছি। খুব ভাল লাগে এই গানের কথাগুলো। প্রত্যেক ফাংশনের শুরুতেই আমি এই গানটা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করি। গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, দেবাঙ্কিতাকে আমি ভাল করে চিনি। খুব ভাল গানের গলা। খেলনা না কিনে তার বায়না মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই, তাঁর লেখা গানের ক্যাসেট তাঁর জীবনপঞ্জি কিনে আনতে হত। বিগত দিনে আমফান, যশের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা করোনাকালে তার ফাংশন করা পুরো টাকাই দিয়ে দিত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
আরও পড়ুন: ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার দুই পুলিশ