প্রতিবেদন : পুজো শেষ। পূজা অশেষ। আজ একাদশী। দেবী প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা অতিক্রান্ত। অন্তত পঞ্জিকা অনুযায়ী। শাস্ত্রমতে মৃন্ময়ী মূর্তি এখন পঞ্চভূতে বিলীন। জলে বাতাসে আগুনে আকাশে, সর্বভূতে। বিসর্জন মানে তাই একটা নির্দিষ্ট পর্বের অবসান। কিংবা পরবর্তী পর্বের প্রস্তুতির সূচনা। বিসর্জন মানে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এ ক’দিন মণ্ডপের আবহে আবদ্ধ পুজো অবকাশ এখন ভিন্ন প্রবাহে ভিন্ন ধারায়, অন্য আনন্দের স্রোতে প্রবহমাণ। নবপ্রবাহের সূচনা হল একাদশী। এবারও হয়তো রাত জেগে ঠাকুর দেখা হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা হয়েছে। নবমীর চাঁদকে সাক্ষী রেখে মনে মনে বলাও হয়েছে, আবার এসো মা। ক’দিন পরে কোজাগরী। দেবী জিজ্ঞাসা করবেন, কো জাগর? কে জেগে আছো? লক্ষ্মী-আরাধনার আবহাওয়া পুজোর এই ক’দিনে রচিত হয়েছে। রীতিমতো এবার কর্মযজ্ঞে সমর্পণ। কর্ম থেকে কিংবা বলা ভাল নিত্যকর্ম থেকে অনন্য ব্যতিক্রমী কর্মে উত্তরণ হল উৎসব। উৎসবের পর উৎসব। এর পরেই লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী আবাহন৷ আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার সুযোগ এখনও অনেক।
আরও পড়ুন-বিজয়া দশমীতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় গোয়ায়, বিজেপি-আপ ছেড়ে দলে যোগদান অব্যাহত
উৎসবের এই ধারা বঙ্গে কোভিড পর্বেও অন্যরকম অর্থনীতি রচনা করেছে। রাজ্য সরকারের হিসাব বলছে স্টেট জিডিপির প্রায় ২.৫৮ শতাংশ আসে উৎসবের পর্বে। মানে এই উৎসব বাংলার অর্থনীতির একটা বিশেষ অংশের জোগানদার। উৎসব না থাকলে সবটাই বিসর্জন হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের এই আনন্দ আবহ নষ্ট করতে চাননি৷ বরং সুষ্ঠু আয়োজনে তাকে পরিপুষ্ট করার নীলনকশা করে দিয়েছেন। আর তাতেই সাফল্য। বিসর্জনেও তাই বিসর্জিত হন না দেবী। মণ্ডপের গণ্ডি পেরিয়ে দেবী আরও বিরাট, আরও বিশাল, আরও বিশ্বায়িত। দেবী আজ ভুবনজুড়ে৷ একাদশীর চাঁদ আজ রাতে সে কথাটাই জানান দেবে।