সুস্মিতা নাথ: আজকাল মোবাইল ফোনের সৌজন্যে লোক চেনা খুব সহজ হয়েছে। এই যেমন, যারা মাঝেমধ্যেই ফোন করে খবরাখবর নেয়, ধরে নেওয়া যায় যে তারা শুভাকাঙ্ক্ষী; যারা নিতান্ত প্রয়োজনে ফোন করে, তারা কেবল কেজো; যারা ভুলেও ফোন করে না, তারা আর যাই হোক বান্ধব নয়; যারা কারণে-অকারণে যখন-তখন ফোন করে, তাদের হাতে অফুরন্ত সময়; যাদের ফোন (Phone Call) প্রায়ই রং নাম্বার হয়ে যায়, তারা অসতর্ক; যারা কেবল স্বার্থে ফোন করে তারা মতলবি, আর যারা কথা বলার বদলে মেসেজ পাঠায়, তারা হল হিসেবি। কিন্তু এদের সকলকে ছাপিয়ে একশ্রেণির নির্লজ্জ মানুষ আছে যাদের চেনার সহজ উপায় হল, তাদের মিস-কল। অর্থাৎ কেবল মিস-কলেই এদের পরিচয়। নিজেদের মতলবের কথা ঝাড়তেও এরা মিস-কল করে। এরা শুধু হিসেবি নয়, অতিমাত্রায় কৃপণ; শুধু চালাক নয়, সেয়ানা; কেবল আত্মকেন্দ্রিক নয়, সুবিধেবাদীও।
আমি প্রথম প্রথম ছিলাম বোকা পাবলিক। মোবাইল স্ক্রিনে কারও মিস-কল (Phone Call) ফুটে উঠলে নিজেই তাকে ফোন করে জেনে নিতাম আমাকে তার মনে করার কারণটি। এতে কিছু মিস-কলাবতীদের বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছিল যে আমি মানুষটি মগজহীন আস্ত এক চতুষ্পদ। তাই চতুষ্পদদের সঙ্গে দ্বিপদরা যেমন ব্যবহার করে থাকে, আমার সঙ্গেও তারা সেটাই করত। অর্থাৎ নানা ব্যাপারেই দশের বোঝা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা হালকা ফুরফুরে মেজাজে উড়ে বেড়াত। ‘বনানী প্লিজ একটু ফোন করে, সোনালি, রিমা, সুনন্দা, বাবলি, পাপিয়া, রাখি, আর নীলাকে একটু জানিয়ে দিও আমি আজ বাড়ি থাকছি না।’ —এমন অনুরোধও শুনতে হয়েছে। দিন দিন এ-সব থ্যাঙ্কলেস জব করে করে ক্লান্ত গলদঘর্ম হয়ে একসময় অনুভব করি, আমারও ফোনের (Phone Call) বিল দিতে হয়, আমারও সময়ের মূল্য আছে।
এখন আমি অনেক সজাগ হয়েছি। আর বোকা পাবলিক নই। তবে ভদ্রতা বা সৌজন্যতার খাতিরে কিছু কিছু মিস-কল দেখে যে কল-ব্যাক করি না তা-ও নয়। যাইহোক আজকের গল্পটা আমার নিজেকে নিয়ে নয়। গল্পটা কিছু মিস-কল-কলানিদের নিয়ে। এই যেমন আমার প্রতিবেশী সুহানা। হঠাৎ হঠাৎ মোবাইল স্ক্রিনে ওর মিস-কল (Phone Call) ফুটে উঠত। কলব্যাক করলেই ও বলে উঠত, ‘অ্যাই বেণুদি, তোমার কাছে তো সয়াসস আছে তাই না? তোমার কাজের মেয়েটাকে দিয়ে আমার কাছে একটু পাঠিয়ে দাও-না, প্লিজ।’ অর্থাৎ সুহানা চাইনিজ খাবে, তাই আমার কাছে সয়াসস থাকা বাঞ্ছনীয় এবং আমাকেই কল-ব্যাক করে জেনে নিতে হবে সুহানার কী প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, সেটা ওর কাছে পাঠানোর ব্যবস্থাও আমাকেই করতে হবে। বোঝো ঠেলা!
অফিসে রওনা হওয়ার ঠিক আগ দিয়ে প্রায়ই কোলিগ অলকদার মিস-কল আসত। কলব্যাক করলেই বলতেন, ‘বুঝলে বেণু, তোমাদের বাঘাযতীনের অমৃতভাণ্ডারের পনির খুব ভাল। তুমি অফিসে আসার সময় ওখান থেকে দুশো পনির আমার জন্যে নিয়ে এসো প্লিজ।’ ভাবটা এমন যেন আমার পাশের ফ্ল্যাটেই সেই অমৃতভাণ্ডার। বাঘাযতীনে থাকলেও সেই অমৃতভাণ্ডার যে আমার বাড়ি থেকে অন্তত কিলোমিটার খানেক দূরত্বে, এবং সেটাও অফিস পথের ঠিক উল্টো দিকে সেকথা অলকদাকে কে বোঝাবে?
সুহানা ও অলকদার মতো আত্মীয়স্বজনও কিছু আছে এমন ধারার। তারা প্রথমে মিস-কল দেবে দু’-তিনটে, তারপর কলব্যাক করলেই বলে উঠবে, ‘নববর্ষের শুভেচ্ছা নিও। ভাল আছ তো?’ অর্থাৎ নববর্ষের শুভেচ্ছা পেতে হলেও এবং আমি যে ভাল আছি সেটা জানিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা নিবৃতি করতেও ফোনটা করতে হবে আমাকেই।
আরও পড়ুন: টেলি-ইন্ডাস্ট্রিতে জোয়ার, সরগরম টেকনিশিয়ানস স্টুডিও
তবে মিস-কল-কলানিদের মধ্যেও যোগ্যতা বা ডিগ্রিগত পার্থক্য আছে। আর এ ব্যাপারে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে রূপাদি। রূপাদির বাড়ি খড়্গপুরে। মাঝেমধ্যেই নানা কাজে-অকাজে ওকে কলকাতায় আসতে হয়। আর কলকাতায় আসার প্রোগ্রাম হলেই আমার কথা ওর মনে পড়ে যায়। মোবাইল সবসময় আমার সঙ্গেই থাকে। কারও কল (Phone Call) দু’-তিনবার বেজে উঠলেই আমি ঠিক রিসিভ করে ফেলি। অথচ রূপাদি যে কী নিপুণ কায়দায় ‘কল’টাকে ‘মিস-কল’ করে দেয়, আমি ধরতেই পারি না! অবসরে একসময় মোবাইল তুলে দেখি স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে রূপাদির একাধিক মিস-কল!
তবে, আগেই বলেছি, আমিও এখন সেয়ানা পাবলিক। অ্যাদ্দিনে এ-ও বুঝে গেছি যে, ও ফোন করেছে মানেই হল, ওর কলকাতায় আসার সময় হয়েছে, এবং প্রতিবারের মতো এবারেও আমার বাড়িতেই সে উঠতে চায়।
আমার বাড়িতে সে থাকতেই পারে। এ-পর্যন্ত অনেক দিনই সে একদিন, দেড়দিন বা দু’তিন দিনও আমার এখানে থেকে গেছে। এখানে ওর থাকা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হল, ওর দস্যি পুত্রদ্বয়কে নিয়ে। ছেলেদুটো যেন দুই মূর্তিমান বিভীষিকা! সাক্ষাৎ শুম্ভ ও নিশুম্ভ। দু’ভাই ঘরে প্রবেশ করার মুহূর্ত থেকে প্রতি পদে নিজেদের উপস্থিতি এমন ভাবে জানান দিতে শুরু করে যে, আমার প্রমাণ মাপের ফ্ল্যাটবাড়িটাতে রীতিমতো টর্নেডো বয়ে যায়। আমার মোবাইল ফোন আমার হাতছাড়া, কারণ রূপাদির ছোটছেলে ওতে গেম খেলছে। কম্পিউটার দখল করে আছে বড় ছেলে। টিভি চলছে ফুল ভল্যিয়ুমে। ওটার চ্যানেল চেঞ্জ হচ্ছে প্রতি দেড় মিনিটে। কখনও বড়টা রিমোট টিপছে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্যে, সঙ্গে সঙ্গেই ছোটটা রিমোট কেড়ে নিয়ে ‘টম এন্ড জেরি’তে থিতু হতে চাইছে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রিমোট নিয়ে তুমুল কাড়াকাড়ি, লোফালুফি, ছোঁড়াছুঁড়ি, মারামারি। সোফা থেকে কুশনগুলো দ্রুত উড়ে উড়ে যাচ্ছে এঘর থেকে ওঘর। এই ‘ঝন্-ননন’ শব্দে পোর্সেলিনের অ্যাশট্রেটা ভূপতিত হয়ে চার টুকরো হয়ে গেল, ওই ধপাশ করে সাইড টেবিল থেকে আমার সাধের ক্রিস্টালের ফুলদানি পড়ে মেঝেময় কাচের টুকরো ছড়িয়ে পড়ল, কিংবা হয়ত শৌখিন ল্যাম্পশেডটার ইহলীলা সাঙ্গ হয়ে গেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই। এতেই শেষ নয়, টিভির রিমোটটারও শেষকৃত্য হতে না হতেই ডাইনিং টেবিল থেকে জলের বোতল তুলেই হয়ত শুরু হয়ে গেল ‘ক্যাচ’ প্র্যাকটিস! ঠকাস-টকাস-ধুপ-ধাপ…। মেঝেতে, দেওয়ালে, আসবাবপত্রে জলভর্তি বোতলের ধাক্কার শব্দ। একসময় সে বোতলের ছিপি খুলে গিয়ে ড্রইংরুম রীতিমতো ছোটখাটো সুইমিং পুলে পরিণত হয়েছে। উফ! ভাবলেই শিউরে উঠি। তারপরও তো আছেই বড়ভাইয়ের ঘুসি খেয়ে ছোটটার তারস্বরে চিৎকার, কান্না। আবার ছোটভাইয়ের খামচি খেয়ে দাদার অগ্নিমূর্তি ধারণ এবং সেইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় অবিরাম গালাগাল বর্ষণ। শব্দদূষণ, পরিবেশদূষণ, সবে মিলে আমার ঘরে তখন অকালের কালবৈশাখী। অথচ এত সত্ত্বেও রূপাদি অদ্ভুতভাবে নির্বিকার! ছেলেদের কীর্তিকলাপ সে দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না। বরং ওর চোখে, হাবে-ভাবে যেন প্রচ্ছন্ন প্রশয় খেলা করে। দেখে হাড়পিত্তি জ্বলে ওঠে আমার। ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতেও পারি না। ফলে সব মিলিয়ে রূপাদি বাড়িতে আসার খবর পেলেই আমি সন্ত্রস্ত হয়ে উঠি।
এবারেও যথারীতি মোবাইলে ওর মিস-কল (Phone Call) দেখেই বুঝে গেলাম, রূপাদি শীঘ্রই কলকাতায় আসছে। কিন্তু কবে এবং কখন, সেকথা জানতে হলে আমাকেই তাকে কলব্যাক করতে হবে। আমিও এখন দু’পেয়ে জীব। কাজেই কলব্যাক করলাম না। যার দরকার সে-ই ফোন করুক। সারাদিনে আর কোনও ফোন বা মিস-কল এল না। সম্ভবত রূপাদি আমার ফোনের অপেক্ষা করে গেল। এর পরের দিন আবার ওর দুটো মিস-কল। এবারেও চুপ থাকলাম। রূপাদি অপেক্ষা করল একদিন, দুদিন, তিনদিন…। আমিও নানা কাজের ব্যস্ততায় ভুলে গেলাম রূপাদির মিস-কলের কথা।
এদিকে আমার ছেলের স্কুলে গরমের বন্ধ আরম্ভ হয়েছে। আমাদের মালয়েশিয়ায় বেড়ানোর প্রোগ্রাম হল। দিন সাতেকের ছোট্ট ট্যুর। ছেলের ভ্যাকেশন শুরু হতেই বেড়ানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল আমাদের। রওনা হওয়ার ঠিক আগের দিন রূপাদির ফোন। না, এবারে আর মিস-কল নয়। ফোন তুলতেই রূপাদির অভিযোগ ঝরে পড়ল, ‘কীরে, কতবার তোকে ফোন করেছি, তুই কথাই বলিস না। পরপর দু’-তিনদিন তোকে ফোন করেছি।’
শুনে পিত্তি জ্বলে উঠল, মিস-কল মেরে আবার গলা বাড়িয়ে কথা! দাঁত চিড়বিড় করে বললাম, ‘তা বলো কী খবর তোমার?’
—আছিরে ঠিকই আছি। শোন-না, কালকে তোদের ওখানে যাচ্ছি। রাকা আর রনির স্কুলে বন্ধ দিয়েছে। ওদের খুব ইচ্ছে হয়েছে কলকাতা ঘোরার। ভাবছি তোর ওখানেই উঠব। তা, কাল তো রবিবার, তুই নিশ্চয়ই বাড়িতেই থাকবি?
—এবারে রূপাদির কথা শুনে আমার মনে একটা আনন্দের চোরাস্রোত বয়ে গেল। এত দিনের নিপীড়নের জিঘাংসা মেটানোর যেন পথ পেয়ে গেছি। বেশ জব্দ করা যাবে ওকে এবার। আমি মনের খুশি মনেই চেপে রেখে বললাম, ‘এ-হে রূপাদি! এবারে তোমাদের সঙ্গে আর দেখা হচ্ছে না। আমরা কালই বেরিয়ে যাচ্ছি।’
—ওমা! তাই নাকি! রূপাদির যেন হৃদ্স্পন্দন থেমে গেছে। হতাশা ভরা কণ্ঠে বলল, ‘তা কোথায় যাচ্ছিস তোরা?’
—মালয়েশিয়া। আমি বিজয়ীর মতো বলে উঠি।
—তাই বুঝি? ভাল ভাল। যা ঘুরে আয়। …কিন্তু … কিন্তু আমার তো মুশকিল হয়ে গেল রে। তোর ওখানে ছাড়া ছেলেরা আর কারও বাড়িতে উঠতে চায় না। এদিকে ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলেছি…। ঠিক আছে, দেখি কী করা যায়। …আচ্ছা রাখছি রে।
রূপাদি ঝটপট ফোন কেটে দিল। আমিও অদ্ভুত আনন্দে পুলকিত হয়ে উঠলাম। আজকে জব্বর জব্দ করা গেছে মিস-কলাবতীকে। ওর শুম্ভ-নিশুম্ভ দুই পুত্রের থেকে এবারকার মতো রেহাই পেলাম বলে মনে পরম শান্তি ছেয়ে গেল। প্রসঙ্গত বলে রাখি, কলকাতায় রূপাদিদের প্রচুর আত্মীয়স্বজন আছে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে কেবল আমার ঘরের ঠিকানাটাই রূপাদির মনে থাকে। আমি জানি না— ওর আর্থিক অবস্থাও বেশ সচ্ছল। ইচ্ছে করলেই হোটেলেও উঠতে পারে। তবু যে কেন এর-তার বাড়িতে থাকার জন্যে হা-পিত্যেশ করে, ও-ই জানে।
নির্বিঘ্নে বেশ আনন্দে মালয়েশিয়া ভ্রমণ সেরে আট দিনের মাথায় বাড়ি ফিরলাম। এরপরেই ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম গতানুগতিক রোজনামচায়। বিতান মনোযোগ দিল স্কুলের হলিডে হোম-ওয়ার্ক ও প্রজেক্টে, বিতানের বাবা নার্সিংহোম, রোগী আর ক্লিনিকে, আমি আমার অফিস ও সংসারে।
কোথাও গেলে, সেখানে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি যেমন, তেমনি ফিরে এসেও থেকে যায় বিস্তর কাজ। লাগেজ আনপ্যাক করা, ব্যবহৃত জামাকাপড় ধোওয়া-কাচা, ওষুধপত্র-সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ, হরেক টলেট্রি, কসমেটিক্স, ও নানান টুকিটাকি যথাস্থানে ফেরত রাখা, …ইত্যাদি কত কী। অফিস সামলে সেসবও চলছে। এরই মধ্যে একদিন স্নান-খাওয়া সেরে অফিসের জন্যে তৈরি হচ্ছি, অমনি বেজে উঠল ডোরবেল। এ সময়ে আবার কে এল? হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলি। আর দরজা খুলেই থমকে গেলাম। মুখে একগাল হাসি নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে রূপাদি! সঙ্গে দুই শুম্ভ-নিশুম্ভ।
আমাকে প্রায় ঠেলেই ভাতৃদ্বয় ঘরের ভেতরে সেঁধিয়ে গেল। রূপাদি গদগদ চিত্তে বলল— যাক তুই তাহলে এখনও অফিসে বেরোসনি। তুই ব্যস্ত আছিস ভেবেই ফোন করিনি। তা, কেমন ঘুরলি মালয়েশিয়া? এই তোদের জন্যেই আমাদেরও প্রোগ্রাম চেঞ্জ করতে হল। তোরা থাকবি না শুনেই ট্রেনের টিকিট ক্যান্সেল করে দিয়েছিলাম। ভাবলাম, তোরা মালয়েশিয়া ফেরার পরেই কলকাতায় আসা ঠিক হবে।
একনাগাড়ে বকেই চলেছে রূপাদি, মিস-কল-কলানি কলাবতী। আমি এখনও ‘থ’ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি দরজার কাছেই। ঘরের ভেতর থেকে শুম্ভ ও নিশুম্ভের রণহুংকার ভেসে আসছে। আমাকে দরজায় রেখেই রূপাদি আহ্লাদিত ভঙ্গিতে একের পর এক বাক্সপ্যাঁটরা ভেতরে চালান করছে। আমার অফিসে রওনা হওয়ার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। মিস-কলাবতী তবে এবারেও আমাকে জব্দ করে দিল!